"গাইবান্ধার সাঘাটায় নদী শাসন প্রকল্পের চলমান কাজে নদীর তীরবর্তী স্থানে ভাঙ্গঁনরোধে বিভিন্ন পয়েন্টে জিও ব্যাগ হরিলুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন পয়েন্টে নদী শাসন প্রকল্পের চলমান কাজে নদীর তীরবর্তী স্থানে ভাঙ্গঁনরোধে অনেক জিও ব্যাগ ফেলানো হলেও বর্তমানের তা এলাকার লোকজন হরিলুট করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকার লোকজন দাবি করছেন,পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়মানুযায়ী এসব বস্তা খোলা,ছেড়া ও খুলে নিয়ে যাওয়া আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে হলদিয়া ইউনিয়নে গোবিন্দপুর,বেড়াগ্রাম ও নলছিয়া গ্রামের নদী-শাসন প্রকল্পের বিভিন্ন পয়েন্টে লোকজন দিন ও রাতের বেলায় এসব বস্তা খুলে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঐ এলাকার এক সচেতন নাগরিক বলেন—"এসব জিও ব্যাগ খুলে নিয়ে বাড়ির কাজের পাশাপাশি প্রতি পিস বস্তা একশ টাকায় বিক্রি করে থাকে। বর্তমানে এসব জিও ব্যাগ চুরি করে বিক্রি করাকে অনেকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন বলে তিনি আখ্যা দেন। তিনি আরও বলেন,সারারণত একজন মানুষ সারাদিন কাজ করলে মজুরী পায় ৫০০ টাকা আর এক ঘন্টায় বস্তা খোলে ১০ থেকে ২০ টি পর্যন্ত। যার মূল্য প্রায় এক থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। বিগত দিনে অনেক লোকজনকে দিনে ও রাতে জিও ব্যাগ চুরি করতে হাতেনাতেও ধরেছি। আগামীতে ধরা পড়লে তাকে স্থানীয়ভাবে বিচারসহ আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।"
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিকল্পনাধীন নদী-শাসন প্রক্রিয়ার এসব জিও ব্যাগ এভাবে হরিলুট হলে নদী শাসনের কাজ ব্যাপকভাবে বাধা করতে হবে। নদী-শাসনের কাজ বাধাগ্রস্ত হলে ঐ এলাকার নদী-ভাঙ্গন ও বন্যার বড় ধরনের আশঙ্কা রয়েছে। হলদিয়া ইউনিয়নে নদীর তীরবর্তী স্থানে নদী-শাসন প্রকল্পের জিও ব্যাগ কেউ খুলে না নিয়ে যেতে পারে সেদিকে সচেতন থাকা উচিত।