নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গৃহবধূ লাকী আক্তার (২৫) হত্যার ঘটনায় জড়িত ও পলাতক স্বামী মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে কসাই শিপনকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ পিবিআই। পারিবারিক কলহের জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে স্ত্রীকে হত্যা করে সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে যায়।
রোববার (২৫ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পিবিআই'র পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এরআগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), নারায়ণগঞ্জ এর একটি টিম শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কোতোয়ালী থানাধীন সদরঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে কসাই শিপনকে গ্রেপ্তার করে।
পিবিআই সংবাদ সম্মেলনে জানায়, গত ১৯ মে বিকাল আনুমানিক ৫টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা দাপা ইদ্রাকপুরের ফজলু মিয়ার বাড়িতে স্ত্রী লাকী আক্তারকে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী কসাই শিপন। পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে কসাই শিপন তার স্ত্রী লাকী আক্তারকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ ঘরের ভেতর রেখে তালা দিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় নিহত লাকী আক্তারের বোন সানিয়া আক্তার বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআই ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে মামলাটি অধিগ্রহণের জন্য আবেদন করে।
পিবিআই, নারায়ণগঞ্জ জেলা তথ্য প্রযুক্তির বিশ্লেষণ এবং বিশ্বস্ত সোর্স নিয়োগ করে হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে কসাই শিপনকে শনাক্ত করে।
শনিবার (২৪ মে) রাত আনুমানিক পৌনে ১২টায় ঢাকার কোতোয়ালী থানাধীন সদরঘাট এলাকা থেকে তাকে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করা হয়।
আর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে নিহত লাকী আক্তারকে হত্যার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
প্রাথমিক তদন্তে এবং আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, পারিবারিক কলহের জের ধরেই মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে কসাই শিপন পরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রী লাকী আক্তারকে হত্যা করেছে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।