কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন পোকখালীর গোমাতলীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারী চক্র পুনরায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ২৫ মে সকালে গোমাতলী নয় একর চিংড়ি ঘের এলাকায় স্তুপ করে রাখা হাজার ঘনফুট অবৈধ বালি ডাম্পার যোগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চড়া দামে পুনরায় সরবরাহ শুরু করে। যা নিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এসব বালি বিক্রি করছেন পশ্চিম গোমাতলীর হান্নান মিয়া। যিনি আবার বালিস্থল সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) কর্তৃক নির্মিত সুইসের সভাপতি ও গোমাতালী ইআইপি /২ এর চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে অভিযোগ উঠা হান্নান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বালি সরবরাহের কথা স্বীকার করলেও তা নদী থেকে সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য উত্তোলনকৃত বালি দাবি করে বলেন ,কাজ শেষে অতিরিক্ত থেকে যাওয়ায় সেগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানায়।
তবে, স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা জানায়, যাদেরকে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উপকূলীয় এলাকার স্লইচ গেট গুলো পরিচালনা ও রক্ষার দায়িত্ব দিয়েছেন তারা যদি এটিকে পূজি করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রক্ষকের পরিবর্তে ভক্ষকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হন, তবে সরকারি সম্পদ কতটুকু রক্ষা হবে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা অবিলম্বে এসব বালি জব্দ ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান
এ বিষয়ে জানতে চৌফলদণ্ডী পওর শাখার দায়ীত্বে থাকা পাউবো'র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ: শাহ আরমান সালমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, নদী থেকে বালি উত্তোলন করে বিক্রির কোন অনুমতি তাদের নেই। সরকারি নির্মাণ কাজের জন্য যা উত্তোলন করেছিলেন তা কাজের সাথে শেষ হয়ে গেছে।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং কাউকে না পেয়ে অভিযোগ উঠা ব্যক্তিকে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ অফিসে উপস্থিত হতে বলেছেন।