বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
নোয়াখালীতে ছাত্রদলকর্মী রাফি হত্যা

পল্লী চিকিৎসকের গ্রেপ্তার দাবিতে সড়ক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী
  ২৮ মে ২০২৫, ১৪:০৪
আপডেট  : ২৮ মে ২০২৫, ১৫:৪১
পল্লী চিকিৎসকের গ্রেপ্তার দাবিতে সড়ক অবরোধ
নোয়াখালীতে ছাত্রদলকর্মী রাফির হত্যাকারী পল্লী চিকিৎসকের গ্রেপ্তার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ: ছবি যায়যায়দিন

নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে ছাত্রদলকর্মী আবুল হোসেন রাফির (১৯) হত্যাকারী পল্লী চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন শাহিনকে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সোনাপুর-কবিরহাট-বসুরহাট সড়কের অশ্বদিয়া ইউনিয়নের ব্যাল্লাকোট্টা চাঁনমিয়ার মোড়ে নিহত রাফির স্বজন, এলাকাবাসী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে এ সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।

1

এ সময় আন্দোলনকারীরা ছাত্রদলকর্মী রাফিকে হত্যার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারী পল্লি চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন শাহিন গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন। রাফির হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে নানা রকম শ্লোগান দেন তারা।

বিক্ষোভের সময় সড়কের দুই পাশে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নোয়াখালী ক্যাম্পের একটি টহল দল ও সুধারাম মডেল থানা পুলিশের পৃথক একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রদলকর্মী আবুল হোসেন রাফির হত্যাকারী পল্লীচিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন শাহিনকে গ্রেপ্তার করার আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে অবোধ তুলে নেন।

সুধারাম মডেল থানার এসআই মোজাম্মেল হোসেন জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে একই দাবিতে গত রোববার সকাল ১১টা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সকাল ১১টা থেকে এলাকাবাসীর ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এ সময় সমাবেশে রাফির বাবা আবুল কালাম আজাদ ও অশ্বদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম অভিযুক্তকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার সময়সীমা বেঁধে দেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অশ্বদিয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিলেন ছাত্রদলকর্মী আবুল হোসেন রাফি। খেলার মধ্যে এক বন্ধুর ঠোঁট কেটে গেলে পল্লী চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন শাহীনের (৬০) কাছে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাফির সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে রাফিকে ছুরিকাঘাত করেন শাহীন। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাতে মারা যান রাফি।

এ ঘটনায় রাফির বাবা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে পল্লী চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন শাহীনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পর অভিযুক্ত পল্লি চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন শাহীন এলাকা থেকে পালিয়ে যান। তাকে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে