সারাদেশ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার আরিফ আলী (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আরিফের পরিবারের দাবী মাদক ব্যবসায়ীদের কথা না শোনায় তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। যে কারণে ঘটনাটিকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছে।

আরিফ আলী উপজেলার ভারত সীমান্ত সংলগ্ন প্রাগপুর ইউনিয়নের পাকুড়িয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের মুর্শিদ আলীর ছেলে। আরিফ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন বলে জানাগেছে।

নিহতের মায়ের লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত বুধবার সন্ধ্যার পর টোকন ও বিলা নামে দুজন আরিফকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আরিফ আর বাড়ি ফেরেনি। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে খবর পেয়ে ডাংমড়কা-আদাবাড়িয়া সড়কের ফাঁকা মাঠের মধ্যে থেকে পুলিশ আরিফের লাশ উদ্ধার করে। ইতিমধ্যে নিহতের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহতের মা হাসিনা খাতুন দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, এলাকার চিহ্নিত দুই মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী টোকন (৩২) ও বিলা (৪০) দীর্ঘদিন ধরে আরিফকে তাদের সঙ্গে মাদক পরিবহনে বাধ্য করার চেষ্টা করছিলেন। রাজি না হওয়ায় তাকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

নিহতের দুলাভাই বজলু রহমান বলেন, “আরিফকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আরিফের মাথায় গভীর জখম, চোখে ফোলা ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানান তিনি। তবে, আরিফের মৃত্যুর ঘটনাটিকে সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে উপস্থাপন করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশে দিয়েছি।

নিহতের মা হাসিনা খাতুন বলেন, “আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এরপর হত্যার ঘটনা চাপা দিতে মিথ্যা সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজানো হয়েছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি নাজমুল হুদা , সুস্পষ্ট কোন বক্তব্য না দিয়ে জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তের পরই বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।