সারাদেশ

এবার গাংনীর ধানখোলা ইউপিতে বরাদ্দের ভিজিএফের চালের কার্ড হাইজ্যাক হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বাররা তার নির্বাচনী এলাকার জনগনের জন্য কার্ড পেয়েছেন খুবই কমসংখ্যক।

বাকি কার্ড চলে গেলে দলীয় নেতাকর্মী, ছাত্র প্রতিনিধিদের হাতে। তারা তাদের অনুগতদের মধ্যে বিতরন করে সুনাম অর্জন করবে। প্রথমে সমবন্টন না হলেও পরে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়।

উপজেলা খাদ্য অফিস সুত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নে মোট ৬ হাজা ৪৯৪টি ভিজিএফের চালের কার্ড বিতরণ করা হয়। যার অনুকুলে বরাদ্দ দেওয়া হয় প্রায় প্রায় ৬৫ মেট্রিকটন চাল। এর মধ্যে ১২ জন মেম্বার প্রত্যেকে ৯০টি করে কার্ড পান, যা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় বিতরণ করবেন। এতে দেখা যায় ১০৮০টি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। বাকী কার্ডের কোন হিসেব মেলেনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা ১৫০টি কার্ড পেয়েছেন। বাকি কার্ড চলে গেছে বিএনপি নেতাদের হাতে।

তবে এনসিপি ও জামায়াত নেতাদের ভাগ্যে জোটেনি। প্যানেল চেয়ারম্যান মন্টু বিএনপি নেতা ও বৈষম্য বিরোধি আন্দোলনের নেতাদের কাছে কার্ড বিতরণ করেছেন। আজ বুধবার (৪ জুন) বিকেল পর্যন্ত পুরো চাল বিতরণ করা হয়নি।

বিষয়টি স্বীকার করে প্যানেল চেয়ারম্যান মন্টু জানান, ইউপি মেম্বরদেরকে দেওয়ার পর বিএনপি নেতাদের কার্ড দেওয়া হয়েছে গরীবদের মাঝে বিতরণের জন্য। বিএনপি নেতাদের কার্ড দিতে পারেন কিনা? এ প্রশ্নের জবাব মেলেনি।

জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও ধানখোলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান জানান, ধানখোলা ইউনিয়ন বিএনপির ক ইউনিটের সভাপতি ও সম্পাদক প্যানেল চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কার্ড নিয়ে নিজ অনুগতদের মাঝে বিতরণ করেন। তারা সব ওয়ার্ডে বিতরণ না করায় মনোমালিন্য দেখা দেয়। পরে সমবন্টন করা হয়েছে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন।প্যানেল চেয়ারম্যানকে নিয়মানুযায়ী চাল বিতরণের আদেশ দেন।