পটুয়াখালীর দুমকি মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার আরবী বিভাগের প্রভাষক মো. মজিবর রহমানকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার (২৯ জুন) মাদ্রাসার মূল ফলকের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মতিউর রহমান বলেন, ‘১৯৮০ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। অথচ বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে একটি চক্র অন্যায়ভাবে আমার ছেলে আরবী বিভাগের প্রভাষক মাওলানা মো. মজিবুর রহমানকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে চাকরিচ্যুত করে। বর্তমানে তার ছেলে মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে। আমরা বিএনপি পরিবার এটাই আমাদের অপরাধ। এজন্যই আমার ছেলে মোহাম্মদ মজিবুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করার জন্য নগ্নভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তাই তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।’
এ ছাড়াও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. ইদ্রিস মিয়া,আবদুল হাই মৃধা,স্থানীয় বাসিন্দা মকবুল হোসেন ও অভিভাবক আঃ করিম গাজী প্রমুখ।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কাজী শাহজালাল জানান, মাওলানা এ.বি.এম মতিন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ থাকাকালে তার পুত্র মজিবুর রহমানের আরবী প্রভাষক পদে নিয়োগে 'নিয়োগ বোর্ডের' সচিবের দায়িত্ব পালন করায়
এবং আহম্মেদ উল্লাহ নামের মাদ্রাসার জনৈক মৃত প্রভাষকের ইনডেক্স (৩৬৫৬২৫) ব্যবহার করে বেতন-ভাতা উত্তেলন করায় ২০১৪ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অত্র মাদ্রাসাটির অডিট প্রতিবেদনে মজিবুর রহমানের নিয়োগকে অবৈধ বলে উল্লেখ করেন।
চাকরির শুরু থেকে অবৈধভাবে গৃহিত সমুদয় বেতন ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে মজিবুর রহমান মাদ্রাসায় নিয়মিত না আসায় তাকে শোকজ নোটিশ দিলে মাদ্রাসার সামনে অধ্যক্ষকে শারীরিক লাঞ্ছিত করেন।এসব কর্মকান্ড মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণকারি প্রতিষ্ঠান ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করেন এবং তার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিচ্যুতির সুপারিশ করলে মাদ্রাসা অধিদপ্তর এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) থেকে চলতি বছর এপ্রিল মাসে তার নাম কর্তন করেন এবং বেতন ভাতা বন্ধ করে দেন।