নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপে লোহার বাবরি চুরি করার সময় টেম্পোরারি লেবার রিক্রুটমেন্ট (টিএলআর) মো. জাবেদকে (৩৪) আটক করেছে সৈয়দপুর কারখানার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। আটক মো. জাবেদ সৈয়দপুর পৌর এলাকার পাটোয়ারী পাড়ার মমিতুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় ওই বাহিনীর দায়িত্বরত ইনচার্জ (হাবিলদার), রেলের কর্মচারী ও ব্যবসায়ীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার সূত্র মতে, কারখানার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপের ইনচার্জ সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম চুরির ঘটনাটি সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে গোপন সূত্রে জানতে পেরে তিনি তাৎক্ষণিক রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ককে বিষয়টি জানিয়ে ওই শপের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেন যে, টিএলআর মো. জাবেদ একটি বস্তায় করে লোহার বাবরি চুরি করছেন।
বিষয়টি নিশ্চিতের পর সৈয়দপুর কারখানার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী জাবেদকে আটক করে। আটক মো. জাবেদ ওয়াগন শপের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলমের কাছে চুরির ঘটনা স্বীকার করে এবং চুরির সঙ্গে জড়িত বাফার সেকশনের টিএলআর মো. হুমায়ুন কবির (৪৩), ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপের টিএলআর সাইফুল ইসলাম (৩৫), রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার হাসান আল মামুন (৪০) এবং চুরির মালপত্রের ক্রেতা সৈয়দপুর শহরের ব্যবসায়ী মোহন চন্দ্র, মুন্না হোসেন, জাভেদ আকতার ও এরশাদ আলীর নাম উল্লেখ করেন।
ঘটনার দিন সোমবার রাতেই ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে তাদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে রেলওয়ে কারখানা থেকে মালপত্র চুরির অপরাধে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ টিএলআর হুমায়ুন কবির ও সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে মামলার বাদী জানান।
সৈয়দপুর কারখানার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিদর্শক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, আসামি জাবেদ আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর লালমনিরহাটের কমান্ড্যান্ট মোরশেদ আলমের নির্দেশে হাবিলদার হাসান আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ-উন নবী।