উৎকোচ কিংবা তদবির ছাড়াই মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ১৫জন তরুণ। বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি পাওয়া বাঁশখালীর এই ১৫ জন তরুণ সম্পূর্ন মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন।
নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দিনমজুর, মৎসজীবী, কৃষক পরিবারের সন্তান। আর এদের লাগেনি কোনো বাড়তি উৎকোচ কিংবা হাইপ্রোফাইল সুপারিশ। পুলিশ প্রশাসনের স্বচ্ছ নিয়োগ প্রকিয়ার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে ইতিবাচক আলোচনা।
এদিকে শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে বাঁশখালী থানায় চাকরি পাওয়া কনস্টেবলদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও মিষ্টিমুখ করিয়ে অভিনন্দন জানান বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শুধাংশু শেখর হালদার, উপপরিদর্শক আরিফ হোসাইন, বিভাষ কুমার শাহা ও দয়াল চন্দ্র ভৌমিক।
নিয়োগ পাওয়া কনস্টেবলরা হলেন মো. রায়হান, সাইদুল ইসলাম সাইদ, মোহাম্মদ আদনান উদ্দিন ইব্রাহিম, মিজানুর রহমান, হাসান মামুন, মিজবাহুর রহমান, ইমন দাশ,
নিয়োগপ্রাপ্ত বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘ঘুষ কিংবা তদবির ছাড়াই আমার চাকরি হয়েছে। যা এক বিরাট ব্যাপার। সৎ মানুষের হাতে দেশ ও রাষ্ট্র পরিচালিত হলে এরকম পরিবর্তন আসবে। আমার পরিবারে সবাই খুশি। মাননীয় আইজিপি স্যার, পুলিশ সুপার স্যার, ওসি স্যারসহ সবার প্রতি আমি ও আমার পরিবারের পক্ষে থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।'
অপর নিয়োগপ্রাপ্ত তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশে মাত্র ১২০ টাকা খরচ করে কনস্টেবল পদে চাকরি পাব, তা স্বপ্নেও ভাবিনি। আমরা যখন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন অনেকে আমাদের এসে বলত এখানে লেনদেন করতে হয়, ওই করতে হয়।
নিয়োগপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান বলেন, ‘অনলাইনে আবেদন করেছি। এরপর মাঠে এসেছি, শারীরিক, লিখিত, মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছি। এরমধ্যে কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করিনি। আমার কাছে এ চাকরিটা এখনও স্বপ্নের মতো লাগছে।'
এ সময় বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই ১৫ জন তরুণের নিয়োগ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে হয়েছে। এটি বাঁশখালীর জন্য আনন্দের একটি খবর। প্রতি বছরই বাঁশখালী থেকে একইভাবে অনেকে নিয়োগ পান। আজ আমরা নিয়োগপ্রাপ্ত ১৫জন তরুণকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছি। এই চাকুরিপ্রাপ্ত ১৫ জন তরুণ তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে দেশ ও সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করবে এমনটাই প্রত্যাশা করি।'