শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

লকেট

মো. মাঈন উদ্দিন
  ২৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

কণা তার মা আছিয়া বেগমের সঙ্গে মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। মহাসড়কের দুপাশেরই গভীর জঙ্গল। এই জঙ্গলের মাঝে ভর দুপুরেও কোনো জনমানবের আনাগোনা থাকে না বলে এই জঙ্গলের নাম হয়েছে বিজন জঙ্গল। জঙ্গলকে ঘিরে যেমন দৈত্য-দানবের গল্প শোনা যায়, তেমনি দসু্যর গল্পও শোনা যায়। কথিত আছে, এই জঙ্গলের মাঝে প্রায়ই বেনামি লাশ পাওয়া যায়, যে লাশগুলো কেউ নিতে আসে না কোনো দিন। বনের শিয়াল, কুকুরের পেটে যায় লাশগুলো। জঙ্গলের মাঝেই একটা জায়গা আছে যেখানে রাস্তাটা ইংরেজি 'ভি' আকৃতির মতো বাঁক নিয়েছে। এখানেই ঘটে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনা। দসু্যরা গাছের গুড়ি দিয়ে রাস্তা আটকিয়ে বাসের যাত্রীদের সব ছিনিয়ে নেয়। কেউ কোনো রকম বাড়াবাড়ি করলে এক কোপে তাদের কলস্না ফেলে দেয়ার ঘটনাও আছে। তাই এই জায়গাটা দিয়ে কেউ পারতপক্ষে হেঁটে যাওয়ার সাহস পায় না। চৈত্র মাসের গা পোড়ে যাওয়া দুপুরের রোদের মধ্যে কণা আর তার মা হেঁটে যাচ্ছিল। যেতে বাধ্য হয়েছিল। লম্বা লম্বা পায়ে হাঁটছিল তারা। আচমকা একটি ঘটনা ঘটে গেল। একটি ব্যাগ ছুড়ে মারল কে বা কারা যেন! ব্যাগটি গড়িয়ে গড়িয়ে ঝোপের নিচে থামল। কিছু বুঝার আগেই ভোঁ ভোঁ শব্দে একটি মোটরসাইকেল বাঁক ঘুরে চলে গেল। পেছন পেছন চলে গেল পুলিশের একটি পিক-আপ ভ্যান। বুঝাই গেল পুলিশ ওই মোটরসাইকেলটিকে ধাওয়া করছে। কণা ও তার মা থমকে দাঁড়িয়েছিল এতক্ষণ। আছিয়া বেগম কণাকে হালকা ধাক্কা দেয়। বলে, 'ঝোপের মধ্যে ওটা কি ছুড়ে মারল রে? একটা হাত ব্যাগ মনে হচ্ছে না?' কণা মায়ের দিকে বিস্ময় চোখে তাকাল। 'তাই তো মনে হচ্ছে! চলো মা, আমরা চলে যাই।' একপা দু'পা এগিয়ে আছিয়া বেগম আবার দাঁড়াল। বলল, 'আচ্ছা, এই ব্যাগে কি আছে একবার দেখে আসি। তুই একটু দাঁড়াতো।' কণা তার মায়ের আঁচল টেনে ধরল। 'মা, আমার ভয় করছে।' আছিয়া বেগম হালকা ঝাড়ি দেয়, 'আরে দাঁড়া না।' আছিয়া বেগম চারিদিকে তাকায়। ব্যাগের দিকে হাঁটা দেয়। পেছন পেছন হাঁটে কণাও। ব্যাগের জিপার খুলে আশ্চর্য হয়ে যায় মা-মেয়ে। এক হাজার টাকার নতুন চকচকে নোট দ্বারা ভর্তি ব্যাগটি। ছিনতাইকারীরা নিরাপদ ভেবে এখানে ব্যাগ ছুড়ে ফেলেছে। হয়তো একটু পরেই ওরা ব্যাগের খুঁজে এখানে আসবে। আছিয়া বেগম অস্থির হয়ে উঠে। কণার চোখের দিকে তাকায়। 'কণা, এই ব্যাগ কিছুতেই হাত ছাড়া করা যাবে না।' 'কি করবা মা?' তড়িৎ জবাব দেয় তার মা। আছিয়া বেগম একশ হাত দূরে বটগাছের নিচে বালির স্তূপের মধ্যে ব্যাগ রেখে বালি চাপা দিয়ে সরে পড়ে। মূলরাস্তা ধরে দ্রম্নত হাঁটতে হাঁটতে বলল, 'কণা, মা, ওই ব্যাগটা আগামীকাল সুযোগ বুঝে বাড়ি নিয়ে যেতে পারলেই হয়।' 'হ মা, এবার আব্বার চিকিৎসা করতে আর কোনো অসুবিধা হবে না।'

মধ্যরাতেও ঘুম হয় না কণার। কণার স্বামী কামাল। কণার অস্থিরতা দেখে কারণ জানতে চায় কামাল। প্রথমে কিছু না জানালেও কামালের পিড়াপিড়িতে এক সময় ঘটনা প্রকাশ করে কণা। আশ্চর্য হয় কামাল। পরের দিন ব্যাগ আনতে গিয়ে খুন হয় আছিয়া বেগম। মুন্ডুবিহীন লাশ পড়ে থাকে আছিয়ার। বিজন জঙ্গলে আরো একটি খুন। এবার খুনের শিকার এই এলাকার বউ আছিয়া। খুনের এই ঘটনাটি পুরো এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করে। থানায় মামলা হয়। মামলা চলে যায় গোয়েন্দাদের হাতে। গোয়েন্দাদের ঘাম ঝরে, তবু খুনের জট খুলে না। টাকার ব্যাগের কারণেই আছিয়া বেগম খুন হয়েছে বলে বদ্ধমূল ধারণা গোয়েন্দাদের; কিন্তু কোনো ক্লু খুঁজে পায় না তারা। ওই খুনের বাদী হয়েও গোয়েন্দা জেরায় পড়তে হয় কণাকে। জেরা করে কামালকেও। কিন্তু প্রকৃত খুনিকে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় গোয়েন্দা দল।

দুই বছর পর। কামাল নিজের বাড়ি বগুড়ায় যায়। বগুড়া হতে আসার সময় একটি লকেট কিনে আনে কণার জন্য। কণা বহু দিন থেকে একটি লকেটের দাবি করে আসছিল। লকেট পেয়ে চঞ্চল হয়ে ওঠে কণা; কিন্তু পরক্ষণেই কণার শরীর বেয়ে ঘাম ঝরতে থাকে। সে যারপরনাই আশ্চর্য হয়। চিৎকার করে ওঠে সে। 'এই লকেট তুমি কোথায় পেলে কামাল? এই লকেট তুমি কোথায় পেলে, বলো।' কণার স্পষ্ট মনে পড়ে মায়ের গলাকাটা লাশের সঙ্গে স্বর্ণের চেইনটা পেলেও চেইনের সঙ্গে লকেটটা ছিল না। কে বা কারা লকেটটি নিয়ে যায়। এই লকেটটি যে নিয়েছিল সে তার মায়ের খুনের সঙ্গে জড়িত বলেই মনে করে কণা। কণার কপাল কুঁচকে আসে। সে কামালের দিকে সন্দেহের চোখে তাকায়। 'কামাল, এই লকেট তুমি কোথায় পেলে? এটা আমার মায়ের লকেট!'

'তোমার মায়ের লকেট মানে! কী বলছো কণা!'

'কামাল, একটা হাতুড়ি নিয়ে এসো।'

'তুমি কি পাগল হয়ে গেলে কণা! হাতুড়ি আনতে বলছ কেন?'

'পিস্নজ কামাল, তুমি একটি হাতুড়ি নিয়ে এসো।'

লকেটটি ইটের ওপর রেখে হাতুড়ি দ্বারা আঘাত করা হয়। আঘাতে লকেটটি দুই ভাগ হয়ে যায়। কামাল আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করে লকেটের ভেতরে দুইটি পাসপোর্ট সাইজের সাদাকালো ছবি। ছবি দুটি আর কারো নয়। কণার মা ও বাবার। চোখ বড় বড় হয়ে উঠে কামালের। কণা চিৎকার করে উঠে, 'কামাল তুমি একটা খুনি! তুমি আমার মাকে খুন করেছ!' 'কি বলছ কণা। আমি তো এই লকেটটি বগুড়া হতে এনেছি।' কণা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। পুলিশ কণা ও কামালকে নিয়ে বগুড়া একটি দোকানে যায়। দোকানি পুলিশ দেখে থতমত। পুলিশ লকেট দেখিয়ে জানতে চায়- এই লকেটটি কোথা থেকে খরিদ করেছে। দোকানি বলেন, এই লকেটটি আমি বিক্রি করিনি।' কামাল এগিয়ে আসে। বলে, 'আমি গত মঙ্গলবার আপনার দোকান থেকে এই লকেট কিনে নিয়েছি। পুলিশ দোকানির কলার ধরে উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, 'এই লকেটের সঙ্গে একটি খুনের ঘটনা জড়িত। তুমি বল, এই লকেট কোথা থেকে কিনেছ। নতুবা আমরা তোমাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাব। দোকানি ভয় পেয়ে যায়। শুকনা কণ্ঠে বলে, 'স্যার, আমি স্বর্ণের এই জিনিসগুলি মলিস্নক বাজারের গোলাপ কর্মকারের কাছ থেকে কিনে আনি। কণা-কামাল আশ্চর্য হয়। তারা একে অপরের মুখ পানে তাকায়। কণা ফিসফিস করে বলে, 'গোলাপ কর্মকার! মলিস্নক বাজার! এত আমাদের থানা সদর।' পুলিশ হাফ ছাড়েন। বলেন, 'তার মানে আমরা খুনের রহস্য উদঘাটনের আরো কাছাকাছি চলে গেলাম।' মলিস্নক বাজারের গোলাপ কর্মকার। শহর জুড়ে তার বেশ নাম-ডাক। শহরের বড় স্বর্ণের দোকানটাই তার। সকাল ১০টা বাজে। দোকানে একজন কর্মচারী কাজ করছে। পুলিশ জানতে চায়, 'গোলাপ কোথায়?' কর্মচারী বলে, 'গোলাপ দাদা নাস্তা খেতে গেছেন।' দোকানের ঠিক পেছনেই গোলাপের বাসা। কিন্তু তাকে বাসায় পাওয়া গেল না। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে গেল।

আট দিন হন্যে হয়ে খোঁজার পরও গোলাপকে ধরা গেল না। পুলিশের সন্দেহ আরো ঘনিভূত হলো যে, গোলাপই এই খুনের সঙ্গে জড়িত নতুবা সে গা ঢাকা দিবে কেন? নবম দিনের মাথায় এক বড় অগ্রগতি আসে। গোলাপের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। পুলিশের কাছে ধরা পড়ে গোলাপ কবুতরের মতো কাঁপতে থাকে। পুলিশ জানতে চায়, 'আপনি বিজন ইউনিয়নের আছিয়া বেগমকে চিনেন?' গোলাপ উত্তরে বলে, 'জে না স্যার।'

'তাহলে আপনি আত্মগোপনে ছিলেন কেন?' গোলাপ পুলিশের পায়ে পড়ে বলেন, 'স্যার, পুলিশ দেখলে আমি ভীষণ ভয় পাই বলে আত্মগোপনে ছিলাম। বিশ্বাস করেন, এর বাহিরে আর কোনো কারণ নেই।' 'বিশ্বাস করা না করা পরের ব্যাপার, আগে বলেন, আছিয়া বেগম খুন হয়েছে, জানেন?' 'স্যার, আছিয়া বেগমকেই যেখানে চিনি না সেখানে উনি খুন হয়েছে- এটা কি করে জানব?''বগুড়ায় কাউকে আপনি স্বর্ণের মাল দেন?'

'জি স্যার।' 'এই লকেটটি আপনি বগুড়ায় কোন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছিলেন?' পুলিশ আছিয়া বেগমের লকেটটি দেখিয়ে জানতে চান। লকেটটি উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখে গোলাপ।

'জি স্যার, যতদূর মনে পড়ে, প্রায় ছয় মাস আগে আমি এই লকেটটি বিক্রি করেছিলাম। কিন্তু এই লকেটের সঙ্গে আমাকে গ্রেপ্তারের সম্পর্ক কী?''আছে গোলাপ, এই লকেটের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আছিয়া বেগমের খুনের রহস্য। আপনি শুধু এটা বলেন- আপনি এই লকেট কোথায় পেলেন?'

গোলাপ আনমনা হয়ে কিছু একটা ভাবল। 'স্যার আমি সাধারণত পুরনো স্বর্ণ, রুপা কিনে সেগুলি গলিয়ে নতুন গহনা তৈরি করে বিক্রি করি। তবে এই লকেটটির কারুকার্য এতই সুন্দর ছিল যে, আমি এটা গলানোর সাহস পাইনি।' সে আবারো কিছু মনে করার চেষ্টা করল। বলল, 'কত মানুষই তো আমার কাছে পুরনো অলংকার বিক্রি করতে আসে। সবার মুখ কি মনে থাকে। তবে যতদূর মনে পড়ে এই লকেটটি যিনি বিক্রি করেছিল তার কপালের ডান দিকে ক্ষত চিহ্ন ছিল।' চমকে উঠল কামাল, 'ক্ষত চিহ্ন? কপালের ডান দিকে? আচ্ছা ক্ষত চিহ্নটা কি কোনো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন?' গোলাপ বলল, 'হ্যা, মনে হয় অস্ত্রের আঘাতের চিহ্নই হবে।' কামাল কণার দিকে ঘুরে তাকাল। 'কণা, তোমার মতিন চাচার কপালের ডানদিকে তো ক্ষতচিহ্ন আছে।' 'হঁ্যা, বছরখানেক আগে হঠাৎ করেই মতিন চাচার ওপর কে বা কারা যেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।' মতিন চাচা বলেন, শত্রম্ন বাহিনী আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কিন্তু শত্রম্ন বাহিনী বলতে তিনি কি বুঝিয়েছিলেন তা আজও রহস্য। কিন্তু তাই বলে মতিন চাচা....।' কণার কিছুতেই বিশ্বাস হয় না মতিন চাচা তার মাকে খুন করতে পারে। তাই আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্বর্ণকারকে প্রশ্ন করে, 'আচ্ছা ওই লোকটির কী বড় বড় গোফ ছিল?' স্বর্ণকার কিছুক্ষণ ভেবে বলল, 'হঁ্যা, ওই লোকটির বড় বড় গোঁফ ছিল।'

আব্দুল মতিন তার বাড়ির দক্ষিণ পাশের কাঠের তৈরি যে দু'তলা ঘরটা রয়েছে তার দ্বিতীয় তলায় থাকেন। ওই ঘরে আব্দুল মতিন ছাড়া অন্য কেউ থাকে না। এই ঘরে কেউ সচরাচর যায়ও না। রাত বারোটার সময় পুলিশ এই ঘরে হানা দেয়। আব্দুল মতিন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুতলায় ওঠে যায়। নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন কিন্তু পারেননি। তাকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। তাকে এই খুন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতেই তিনি হঠাৎ কেঁদে ফেলেন। কোনো রহস্য না করেই তিনি সমস্ত ঘটনা জট খুলে দেন। বলেন, 'আমি অপরাধী। আমাকে শাস্তি দিন। কিন্তু বিশ্বাস করেন, আমি কণার মা মানে ভাবিকে খুন করিনি। খুন করেছে বনদসু্য কাবিলা। কণা ও কামাল তাদের ঘরে তার মায়ের টাকার ব্যাগ পাওয়া নিয়ে যখন কথা বলছিল। ঘটনাক্রমে আমি সব কথা শুনেছিলাম। আমি টাকার লোভ সামলাতে পারিনি। টাকার ব্যাগ পেতে আমি মরিয়া হয়ে ওঠি। সাহায্য চাই কাবিলার। কিন্তু কাবিলা আমার সঙ্গে গাদ্দারি করেছে। আসলে টাকার ব্যাগ কোথায় লুকানো ছিল তা আমি জানতাম না। তাই কাবিলাকে নির্দিষ্ট জায়গা বলতে পারিনি। পরের দিন আছিয়া বেগম যখন ওই বনে ঢুকেন, তখন কাবিলা তার পিছু নেয়। আছিয়া বেগম টাকার ব্যাগ হাতে নিতেই কাবিলা তার পথ আগলে দাঁড়ায়। নানা রকম ভয় দেখালেও আছিয়া বেগম টাকার ব্যাগ হাত ছাড়া করতে চায়নি। অবশেষে এক কুপে কাবিলা আছিয়া বেগমের কলস্না দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে মৃত দেহের পাশে একটি লকেট পড়ে থাকতে দেখি। আর কিছু নয়। এই লকেটটি আমি গোলাপ কর্মকারের কাছে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলাম। কাবিলা আমাকে টাকার ভাগ তো দেয়ইনি বরং আমি টাকা চাইতে গেলে হত্যার হুমকি দেয়।' পুলিশ জানতে চায়, 'আপনি হত্যা করেননি আর কাবিলাই যে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তার প্রমাণ কী?' আব্দুল মতিন পুলিশের হাতে একটি সিডি ধরিয়ে দিয়ে বলেন, 'কাবিলার এক সহযোগী মোবাইলের মাধ্যমে এই হত্যাকান্ডের ভিডিও তুলেছিলেন- যা এই সিডিতে আছে। এই ভিডিওই প্রমাণ করবে যে কাবিলাই এই খুন করেছে। আমি নই।'

সদস্য, জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরাম ময়মনসিংহ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<64090 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1