শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সং ক্ষে পে

নতুনধারা
  ২১ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

চোখের

নিচে কালি?

রঙবেরঙ ডেস্ক

চোখের নিচের কালি অনেকেরই দুশ্চিন্তার কারণ। আবার উল্টোভাবেও বলা যায়, দুশ্চিন্তার কারণেও কালি পড়ে চোখের নিচে। জেনে নিন কালি পড়ার কারণ এবং এর প্রতিকার।

ঘুম কম হওয়ায় বা দীর্ঘদিন কোনো অসুখে ভোগার কারণে চোখের নিচে কালি পড়লে তার জন্য কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। তা এমনিতেই চলে যাবে।

চোখের নিচের কালি দূর করার জন্য বিভিন্ন ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এসব ক্রিম ব্যবহারে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। ক্রিম ব্যবহারের আগেই তা খেয়াল রাখতে হবে। ক্রিম ব্যবহার বা অন্য কোনো ধরনের চিকিৎসা নিলেই যে চোখের নিচের কালি পুরোপুরি চলে যাবে, তা নয়। তবে তা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।

চোখের নিচের কালি প্রতিরোধে রোদে যাওয়ার সময় ছাতা ব্যবহার করুন।

সানবস্নকও ব্যবহার করতে পারেন।

যে কোনো ধরনের মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

প্রচুর পানি ও দুধ পান করুন।

কুচি করা শসা দিয়ে গোল বল বানিয়ে চোখের ওপর দিয়ে রাখুন। এ অবস্থায় অন্ধকার ঘরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট থাকুন।

একই পদ্ধতিতে শসার পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন কুচি করা আলু।

কদমফুলের পাপড়ি বেটে ৫ থেকে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এতে চোখের নিচের কালো দাগ অনেকটাই দূর হবে। এটি না পেলে পুদিনাপাতা বা নিমপাতাও ব্যবহার করতে পারেন।

এ ছাড়া কালি দূর করার জন্য চোখের নিচে লাগানোর ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।

প্রতিদিন ঘুমানোর আগে অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করবেন।

কোনো বিউটি পার্লারে এসে প্রতি ১০ দিন পর পর আই ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। করাতে পারেন হোয়াইটেনিং ফেসিয়ালও।

হরমোনজনিত সমস্যা বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যার কারণে চোখের নিচে কালো দাগ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

তবে বংশানুক্রমিকভাবে চোখের নিচে কালি হলে, তা দূর করার জন্য তেমন কিছুই করার থাকে না।

দূর হবে

ক্লান্তি

রঙবেরঙ ডেস্ক

আমরা যারা সকাল-সন্ধ্যা অফিস করি আর সারাক্ষণ কাজের চাপে খাওয়ার কথাও ভুলে যাই, তাদের যদি বলা হয় কাজের ফাঁকে আধা ঘণ্টা হেঁটে আসুন, তবে তা সফল করার সম্ভাবনা দিবাস্বপ্নের মতোই হবে।

কিন্তু একটানা চেয়ারে বসে থেকে কম্পিউটারে কাজ করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন পিঠে, ঘাড়ে ব্যথা, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি ছাড়াও হাতের কব্জি অবশ হয়ে আসতে পারে।

দীর্ঘ সময় কাজ করার পরে শরীরে ক্লান্তিভাব দেখা দেয়। যা আমাদের কাজের মনোযোগ নষ্ট করে। আর সারাদিন অফিসের পর বাড়ি ফিরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়ার সময়ও পাওয়া যায় না। ফলে শরীরে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধার সুযোগ তৈরি হয়।

অফিসের কাজের চাপে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ি তখন জেনে রাখা প্রয়োজন চটজলদি কিছু পদ্ধতি যা আমাদের খুব সহজেই অবসন্ন ভাব কাটিয়ে চাঙ্গা করে তুলবে।

তেমনই কিছু টিপস

দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ না করে কিছুক্ষণ পর পর হেঁটে পাশের সহকর্মীদের খোঁজখবর নিন।

ছোট ছোট কাজে সাহায্যকারী না ডেকে নিজেই উঠে যান। যেমন কোনো কিছু প্রিন্ট বা ফটোকপি করতে হলে ডেস্ক থেকে গিয়ে নিজেই নিয়ে আসুন।

কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ব্রেক নিন। চা খান, সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করুন। নতুন করে কাজের উৎসাহ পাবেন।

অফিসের চেয়ারে সব সময় শিরদাঁড়া সোজা রেখে বসুন।

কম্পিউটার স্ক্রিনে একটানা ১০-১৫ মিনিটের বেশি তাকিয়ে থাকবেন না। কম্পিউটারে কাজ করার সময় নিয়মিত চোখের পাতা ফেলুন।

কম্পিউটার শরীর থেকে এক হাত দূরে, আই লেভেলের একটু নিচে সেট করুন।

সুস্থ থাকতে অফিসেই আমরা ছোট কিছু ব্যায়াম করতে পারি:

হাত দুটো সামনের দিকে সোজা বাড়িয়ে দিন, এক হাত দিয়ে অন্য হাতের আঙ্গুলগুলো ধরুন। এবার হাত দুটো আস্তে আস্তে ওপর নিচ করুন।

অফিসের চেয়ারে মেরুদন্ড সোজা করে বসুন। এবার ঘাড় আস্তে আস্তে ডানে বামে ঘোরান। এভাবে ৫ থেকে ১০ বার করুন।

পায়ের আঙুলের ওপর ভর করে সোজা হয়ে দাঁড়ান। আস্তে আস্তে এই অবস্থায় পিঠ সোজা রেখে বসার ভঙ্গি করুন। এভাবে ৫ বার করুন।

চেয়ারটা ডেস্ক থেকে খানিকটা দূরে সরিয়ে নিন। হাত দুটো সোজা করে ডেস্ক স্পর্শ করুন ১০ বার।

নিয়মিত এই অল্প সময়ের ওয়ার্কআউট আমাদের একঘেয়েমি দূর করে কাজে আরও মনোযোগী করে তোলে এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<46239 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1