বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

এলএনজি আমদানির নতুন উৎস খুঁজছে ভারত

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
এলএনজি আমদানির নতুন উৎস খুঁজছে ভারত

ক্রমবধর্মান চাহিদার বিপরীতে ভারতের বাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি দিন দিন বাড়ছে। মূলত দীঘের্ময়াদি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া কিংবা কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে এলএনজি আমদানি ভারত। চাহিদা বৃদ্ধির জেরে এখন জ্বালানি পণ্যটি আমদানিতে নতুন উৎস খুঁজতে শুরু করেছে দেশটি। একই সঙ্গে প্রচলিত প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে দীঘের্ময়াদি চুক্তির বদলে স্বল্পমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আমদানিতে আগ্রহী হয়ে উঠছে তারা। খবর বøুমবাগর্ ও ওয়াল্ডর্ গ্যাস নিউজ।

ভারত বিশ্বের চতুথর্ শীষর্ এলএনজি আমদানিকারক দেশ। ইন্টারন্যাশনাল গ্যাস ইউনিয়নের (আইজিইউ) তথ্য অনুযায়ী, বতর্মানে আন্তজাির্তক বাজার থেকে প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি ৯২ লাখ টন এলএনজি আমদানি করেন ভারতীয় আমদানিকারকরা। জ্বালানি পণ্যটির মোট বৈশ্বিক রপ্তানি বাণিজ্যের ৭ দশমিক ৪ শতাংশ এলএনজির গন্তব্য ভারতের উপক‚লীয় টামির্নালগুলো। ক্রমবধর্মান অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণে ২০২৪ সাল নাগাদ ভারতে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি বতর্মানের তুলনায় বেড়ে দ্বিগুণ হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশটিতে বতর্মানে চারটি এলএনজি টামির্নাল রয়েছে। আমদানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা মাথায় রেখে সাত বছরের মধ্যে নতুন করে আরো ১১টি এলএনজি টামির্নাল নিমাের্ণর উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সব মিলিয়ে অথৈর্নতিক অগ্রগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতে এলএনজি ব্যবহার ও আমদানিতে সবচেয়ে চাঙ্গাভাব বজায় রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে ক্রমবধর্মান অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে প্রচলিত দীঘের্ময়াদি চুক্তির বদলে স্বল্পমেয়াদে নতুন উৎস থেকে এলএনজি আমদানিতে ভারতীয় আমদানিকারকরা ধীরে ধীরে আগ্রহী হয়ে উঠছেন বলে জানান দিল্লিভিত্তিক জিএআইএল ইন্ডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিসি ত্রিপাঠি। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ওয়াল্ডর্ গ্যাস কনফারেন্সে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে ভারতে এলএনজির অভ্যন্তরীণ চাহিদা বতর্মানের তুলনায় দ্বিগুণ হবে। ফলে জ্বালানি পণ্যটির আমদানিও আগের তুলনায় বাড়বে। বতর্মানে ২০ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় বিভিন্ন দেশ থেকে এলএনজি আমদানি করা হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি নানা ধরনের জটিলতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এ কারণে ৫ কিংবা ১০ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আমদানির কথা ভাবা হচ্ছে। প্রচলিত বাজারগুলোর বাইরে বিকল্প উৎস থেকে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এতে এলএনজি আমদানিতে জটিলতা কমার পাশাপাশি সময় ও খরচ কম লাগবে।

ভারতের আমদানি করা এলএনজির অন্যতম উৎস কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র। দীঘের্ময়াদি চুক্তির আওতায় দেশ দুটি থেকে এলএনজি আমদানি করে ভারত। স¤প্রতি রুশ জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের কাছ থেকে প্রথমবারের মতো এলএনজি আমদানি করেছে দিল্লিভিত্তিক জিএআইএল ইন্ডিয়া। ২০ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে পযার্য়ক্রমে ২৫ লাখ টন এলএনজি আমদানি করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে গত মাসে রুশ এলএনজির প্রথম চালানটি ভারতের গুজরাট বন্দরে পেঁৗছেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে