শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খাগড়াছড়িতে জন প্রিয় হয়ে উঠছে ভুট্টা চাষ

রিপন সরকার, খাগড়াছড়ি
  ০৩ মার্চ ২০২৩, ১৫:৫৭
ছবি-যাযাদি

খাগড়াছড়িতে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভুট্টা চাষ, আর এ ভুট্টা চাষের ফলে পাল্টে যাচ্ছে কৃৃষকদের জীবন মান। বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন তারা।

কৃষকরা কৃষি অফিস ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষন নিয়ে চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন খাগড়াছড়ির সর্বত্র ভুট্টার আবাদে যেন সবুজের সমারোহ। তামাকের পরিবর্তে বিভিন্ন জাতের ভূট্টার আবাদে বেশি আগ্রহী হয়েছেন কৃষকরা। এবছর ভুট্টার ব্যাম্পার ফলনের আশায় কৃষকরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন।

খাগড়াছড়ি জেলার চেঙ্গী, মাইনি নদীর বালুচর ছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলা সদরের কমলছড়ি, সাতভাইয়া পাড়া, পেরাছড়া, গুগড়াছড়ি, বিজিতলা, ভাইবোনছড়াসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাপকভাবে ভুট্টার আবাদ করছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবারে ভুট্টার ফলনে বিপ্লব ঘটবে, এমনটাই প্রত্যাশা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের। স্থানীয় ভাবে ভুট্টা চাষিরা খাগড়াছড়িতে ভুট্টা সংরক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি ভুট্টা প্রক্রিয়াজাত কারখানা চালু করা দাবি করেছেন।

গত কাল বৃহস্পতিবার মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়ায় সরেজমিনে গেলে, কৃষক নেম্রা মারমা ও আলুমং মারমা জানায়, ভুট্টা প্রক্রিয়াজাত কারখানা চালু করা হলে স্থানীয় বাজারগুলোতে ভুট্টার দাম নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি এলাকার কর্মহীন মানুষদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। কৃষি অফিসের ব্লক সুপারভাইজার মোঃ মানিক মিয়া জানান, এবারে আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারণে অন্যবছরের তুলনায় ভূট্টার আবাদে কোন পোকার আক্রমণ না থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। কৃষক রফিকুল ইসলাম জানায়, গতবছর যে জমিগুলোতে তামাক আবাদ করেছিলাম সে জমিগুলোতে এবার তাকের পরিবর্তে ভুট্টা লাগিয়েছি। সবমিলিয়ে ৪বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ করছি সময়মতো সার ও পানি দেয়ার ফলে ফলন ভাল হয়েছে।

আশা করছি বিঘা, প্রতি ২৫ থেকে ২৭ মণ, এমনকি তারও বেশি ফলন হতে পারে এমনটাই আশা করা যায়। তবে বাজার মূলটা ভাল পাওয়া গেলে আগামীতে সব জমিতেই ভূট্টা লাগাবো। মাইসছড়ির কৃষক ক্যাউচিং মারমা জানায়, আগে বছরের পর বছর ধরে এসব জমি পড়ে থাকতো।

বিভিন্ন এনজিও সংস্থা এবং কৃষি অফিস থেকে আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কারনে এখন এই পরে থাকা জমিগুলোতেই ভূট্টা, ধান, মিষ্টি কুমড়া ও শাকসবজি সহ নানান ধরনের ফসল তুলতে পারছি। পানছড়ি উপজেলার সাবেক ইউ সি সি চেয়ারম্যান ও লতিবান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ বিজয় চন্দ্র সরকার বলেন এক সময় পাহাড়ের অনেক কৃষক অনাহারে - অর্ধাহারে থাকতো। কচু লতাপাতা খেয়ে দিনপার করতো তারা। এখন পালটে গেছে তাদের সে জীবন চিত্র। মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল বলেন, বর্তমান সরকার আমলে কৃষকদেরকে ভিবিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কৃষিকাজে উদ্বুদ্ধ করায় কৃষকরা চাষ করে নিজেদের চাহিদা পুরণ করে বিক্রি করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এতে করে স্বাবলম্বীও হচ্ছেন তারা।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে