রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

দামুড়হুদায় বৃষ্টির জন্য হাহাকার, কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ 

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
  ০২ আগস্ট ২০২৩, ২০:৪৬

আমন ধানের চাষ হলেও দামুড়হুদা উপজেলায় এবার উল্টো চিত্র। আষাঢ় মাস শেষে শ্রাবণের শেষের দিকেও দামুড়হুদায় বৃষ্টির দেখা নেই বললেই চলে। আকাশে শ্রাবণের মেঘ থাকলেও দেখা দিচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। ফলে আমন ধানের চাষ ব্যাহত হচ্ছে। ভরা বর্ষা মৌসুমে গভীর নলকুপের ও শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে চলছে আমন চাষ।

এতে বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন খরচ। কৃষক সেচ দিয়ে আমন ধান রোপণ করলেও পানির অভাবে তা মরে যাচ্ছে অনেক জমির ধান। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর দামুড়হুদা উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় ৮ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

পানির অভাবে জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে পারেননি উপজেলার অর্ধেকের বেশী কৃষকরা। ভরা বর্ষা মৌসুমেও এসব এলাকায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষক ধান রোপণ করতে পারছেন না।উপজেলার কুড়ুলগাছি আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতির লিমিটেডের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে সাধারণত বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে কৃষক আমন চাষে নামেন।

এ কারণে এ আবাদে তাদের সেচ খরচ কম হয়। কিন্তু এ বছর বর্ষাকালে (আষাঢ় ও শ্রাবণ) বৃষ্টির দেখা না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। পানির জন্য হাহাকার চলছে। আমাদের সমিতিতে মোট ১১ টি গভীর নলকুপের সাহায্যে মাঠে আমন চাষ করাতে হচ্ছে। সাধারণ কৃষকদের যেমন ব্যয় বাড়ছে ঠিক তেমনি সমিতির ব্যয় বাড়ছে বিগত বছরে আমাদের গভীর নলকুপ তেমন বর্ষা মৌসুমে চালাতে হয়নি।

অনেক কৃষক এখনো উচ্চ জমিতে বৃষ্টির অভাবে তারা এখনো আমনের চারা রোপণ করতে পারেননি।উপজেলার সদর ইউনিয়ন হাতিভাঙ্গা গ্রামের কৃষক মল্লিক বলেন, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করব। কিন্তু বৃষ্টির পানির অভাবে চারা রোপণ করতে পারছি না।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, শুধু দামুড়হুদায় নয়; প্রয়োজনীয় বৃষ্টির অভাবে সারাদেশে আমন আবাদে এ অবস্থা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি।

তবে আমন মৌসুমের ধান রোপণের সময় খুব বেশি পিছিয়ে যায়নি। আগস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত রোপণ করা যাবে। পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে যাবে বলে আশা করে তিনি আরো বলেন, আমন আবাদ নিয়ে কৃষকের পাশাপাশি কৃষি অফিসও চিন্তায় রয়েছে। চলতি মাসে বৃষ্টি হলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এরই মধ্যে কৃষক সেচের মাধ্যমে আমন ধানের চারা রোপণ শুরু করেছেন।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে