রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ধনবাড়ীতে 'লাম্পি স্কিন ডিজিজ' রোগে মারা যাচ্ছে গরু

ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১৩:০৪
আপডেট  : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১৩:১২

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) ভাইরাস। এ রোগ মহামারীর মতো সংক্রমিত হয়ে মারা যাচ্ছে গরু। উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নেই এ রোগের মহামারী আকার ধারণ করায় দেখা দিয়েছে হতাশা। একারণে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খামারীরা।

জরুরী সেবা চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। দ্রুুত ছড়িয়ে পড়ছে গ্রাম থেকে গ্রামে। এলএসডি ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে গরুর শরীরে দেখা দিচ্ছে জ্বর ও গোটাসহ নানা উপসর্গ। হাসপাতালে ভিড় করছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা খামারী ও কৃষক। গ্রাম থেকে গ্রাম মহামারী আকারে ছেয়ে যাচ্ছে। সঠিক সময়য়ে চিকিৎসাসেবা না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে খামারী ও কৃষকরা।।

ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারা, যদুনাথপুর ও ধোপাখালী ইউনিয়নের প্রত্যেক গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি বাড়ীতেই রয়েছে আক্রান্ত গরু। বিশেষ করে ছোট বাছুরগুলো আক্রান্ত হচ্ছে বেশি । রোগের সংক্রমণ ও গরুর মৃত্যু হওয়ায় বড় ধরনের লোকসানে পড়ছেন খামারীরা।

বীরতারার খামারী শহিদ আলীর ২টি গরু মারা গেছে এই রোগে। লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গরু হারিয়ে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন তিনি।

যদুনাথপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ জানান, লাভের আশায় বিক্রির জন্য পালন করে ছিলেন একটি গরু, এলএসডি আক্রান্ত হওয়ায় সে সম্ভাবনাটুকুও মিলিয়ে গেছে।

খামারী সোহরাব হোসেন বলেন, আমার ৩টি গরুর সবকটিই আক্রান্ত, তবে তার মধ্যে একটা খুব বেশি অসুস্থ, ঘাস-পানি কিছুই খাচ্ছে না। তবে উপজেলা প্রাণি সম্পদ হাসপাতালে যাওয়ার পরে শুধু কাগজে ঔষুধ লিখে দিয়ে বললো হাসপাতাল গেইটের বাইরের ফার্মেসী থেকে কিনে নেন। হাসপাতাল থেকে কোন ঔষুধ দেয় নাই। খামারীদের ধারণা, যথাযথ চিকিৎসা পেলে এ সংকট অচিরেই কেটে যাবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: গোলাম মোর্শেদ বলেন, ধনবাড়ীতে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে এলএসডি ভাইরাস। ভাইরাস জনিত রোগ প্রতিরোধের জন্য আমরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সচেতনতা করা হচ্ছে। যারা গোট প্রক্স ভ্যকসিন দিতে ইচ্ছুক তারা বাইরে থেকে কিনে যদি আমাদের কোন সহযোগীতা চাই ভ্যাকসিন পুষ করার জন্য তাহলে করে দেয়া হয়। আর আমাদের এখানে বাস্তবে ভ্যাকসিন পুষ করার জন্য মাত্র একজন ডাক্তার রয়েছে। আর চাহিদার তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশী হওয়ায় অনেকজন কেই ঔষুধ দেয়া যায় না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে