শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এক ডাবের দাম ১০০ টাকা !

যাযাদি ডেস্ক
  ১৮ এপ্রিল ২০২১, ২০:০১

তৃষ্ণা মেটাতে ডাবে চুমুক দিতে ভালো লাগে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। আর সেটা যদি তীব্র গরম আর রমজানের ইফতারে হয়, তাহলে তো কথাই নেই। তবে সেই চুমুক দিতে যদি এক ডাবেই একশ টাকার একটি নোট চলে যায় সেটাও ভালো লাগবে না।

রোববার (১৮ এপ্রিল) রমজানের পঞ্চম দিন। দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি এবং রমজানকে কেন্দ্র করে বেড়েছে ফলের চাহিদা। রাজধানীর গ্রিন রোড, কাঁঠালবাগান, কলাবাগান ও পান্থপথ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ইফতারে ভাজা-পোড়ার চেয়ে ফলের চাহিদা বেশি। আর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কমবেশি সব ফলই বাড়তি দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

ক্রিসেন্ট রোডের বাসিন্দা আবদুল হালিম ইফতারির জন্য গ্রিন লাইফ হসপিটালের পাশের গলিতে ভ্যান থেকে ডাব কিনছিলেন। মাঝারি আকারের দুটি ডাব তার কাছ থেকে ২০০ টাকা রেখেছেন বিক্রেতা। ক্রেতা হালিম বলেন, দুইটা ডাব দুইশ টাকার কমে বিক্রি করতে রাজি হচ্ছিল না। অনেক বোঝানোর পরও দশ টাকা কম দিতে চাইলাম, কিন্তু রাজি হইল না। এত দাম রাখার কারণ জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ ডাব ব্যবসায়ী বলেন, মামা, চাহিদা বেশি; আমাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ইফতারির জন্য সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছিল তরমুজ। চাহিদা বেশি থাকায় তরমুজের দোকানগুলো পকেট কাটছে সাধারণ ক্রেতাদের। গত কয়েকদিন ধরে বিক্রি হওয়া কেজি প্রতি তরমুজের দাম বেড়েছে, ১০ থেকে ১৫ টাকার মতো। অর্থাৎ প্রতি কেজি তরমুজ কিনতে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

ডাব-তরমুজ ছাড়াও ফলের মধ্যে আপেল, আনারস, মাল্টা, বেল, আতা, সফেদা ও কাঁচা আমের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সঙ্গে শরবতের জন্য লেবুর চাহিদাও তুঙ্গে।

অন্যদিকে ইফতারের দোকানগুলোতে মুরগি ও খাসির রোস্ট, জিলাপি, কাচ্চি, তেহারি, মোরগ পোলাও, হালিম, ছোলা, মুড়ি, সমুচা, শিঙাড়া, নিমকি, খেজুর, বেগুনি, আলুর চপসহ আরও বিভিন্ন আইটেম পসরা সাজিয়ে রাখা হলেও সেই অর্থে ক্রেতা টানতে পারছেন না দোকানিরা। গ্রিন রোডের হাজি হোটেলের এক কর্মী জানান, প্রতিদিন যে পরিমাণে ইফতারের আইটেম করা হচ্ছে, চাহিদা কম থাকায় অনেক আইটেমই থেকে যাচ্ছে।

যাযাদি/এসআই

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে