শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টঙ্গিবাড়ীতে আলুর কেজি ৪ টাকা

টঙ্গিবাড়ী ( মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৫৩

টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হিমাগারগুলোতে এখনো প্রচুর পরিমান আলু মজুদ রয়েছে। নতুন আলু বাজারে ুঠার কারনে পুরাতন আলুর চাহিদা কমে গেছে । যার কারনে ৪টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না । দাম না থাকায় আলুর মালিকরা আলু বিক্রি করতে আসছেনা । যার কারনে মজুদকৃত আলু নিয়ে বিপাকে পরেছে হিমাগারের মালিকরা ।

একাধিক হিমাগার মালিক বলেন, আলু মালিকরা দলিলগুলো আমাদের দিয়ে গেলে আমরা নামেমাত্র মূল্যে আলু বিক্রি করে হলেও ভাড়ার টাকার আংশিক আদায় করতে পারতাম। এছাড়া আলু মালিকরা আলু রাখার সময় আমাদের কাছ থেকে বস্তা প্রতি ঋণ নিয়েছেন। ঋণের সুদের টাকাতো দূরের কথা মূল টাকার থেকেও তারা যদি কিছু অংশ বাদ দিয়ে আমাদের দিতো আর তাদের আলু নিয়ে যেত, তাহলে হয়তো সময় মতো আমরা আবার আগামী বছরের জন্য আলু সংরক্ষণ করতে হিমাগারগুলো প্রস্তুত করতে পারতাম।

সরেজমিনে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি হিমাগারের ভেতরে ও হিমাগারের পাশে পচা আলুর স্তূপ। হিমাগারগুলো থেকে বর্তমানে যে আলুগুলো বের করা হচ্ছে তার মধ্যে লম্বা শিকর গজিয়েছে। দীর্ঘদিন হিমাগারে আলু সংরক্ষণের কারণে বস্তাগুলো পঁচে গেছে। এ মৌসুমে হিমাগারগুলো থেকে নামেমাত্র আলু বের হচ্ছে।

হিমাগার কর্তৃপক্ষ বলছে- এখনো প্রচুর পরিমাণ আলু হিমাগারে মজুত রয়েছে। বর্তমানে ৪-৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬-৭টাকা। এক বস্তা (৫০ কেজি) আলু বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা। হিমাগার ভাড়া ও উৎপাদন খরচসহ এক কেজি আলুর দাম পড়ে ১৮-২০ টাকা। তবে দিন দিন আলুর দাম কমছে।

এদিকে এ বছর আলু রোপণ মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিতে বীজ পঁচে টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় আলুচাষিদের কোটি কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা হিমাগারে রক্ষিত আলুর দাম না পেয়ে ধারদেনা করে পুনরায় আলু চাষ করেছেন। আলু চাষ বিলম্বিত হওয়ায় আলু পরিপক্ক হতে যে সময় প্রয়োজন, সে সময় না পাওয়ায় এ বছর আলু উৎপাদন অনেক কম হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আলুর পাইকার আলম তালুকদার দৈনিক যায়যায়দিনকে বলেন, আলু কিনে হিমাগারে রেখেছিলাম। এখন কোন ক্রেতা না পেয়ে আলু আড়তে নিয়ে যাচ্ছি।

টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সিদ্বেশরী কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার মো, ফকরুল ইসলাম দৈনিক যায়যায়দিনকে বলেন, আমাদের হিমাগারে এখনো ৫ হাজার বস্তা আলু রয়েছে। এখন আর আলু নিতে হিমাগারে আসছেন না আলু মালিকরা। আমরা আলু রাখার শর্তে ঋণ দিয়েছিলাম। কিন্তু ঋণের সুদতো দূরের কথা আসল টাকাও পাচ্ছি না। যদি তারা ঋণের আসল টাকার কম দিয়েও আলু নিয়ে যেত, তাহলে আমরা আলু দিয়ে দিতাম। কিন্তু কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগই করছেন না। আলু না নিলে আলু মালিকরা যদি দলিলগুলোও দিয়ে যেত, তাহলে আলু বিক্রি করে ভাড়ার আংশিক টাকা আদায় করতে পারতাম।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে