শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

বৈশ্বিক পোশাক বাজারের গতি-প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যবসায়িক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সদস্যদের প্রতি: বিজিএমইএ সভাপতি

যাযাদি ডেস্ক
  ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:৪৫
বৈশ্বিক পোশাক বাজারের গতি-প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যবসায়িক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সদস্যদের প্রতি: বিজিএমইএ সভাপতি

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানি কারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর সভাপতি ফারুক হাসান পোশাক রপ্তানি কারকদের বৈশ্বিক পোশাক বাজারের গতি-প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যবসায়িক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আহবান জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিজিএমইএ সদস্যদের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি শিল্পে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ গুলো মোকাবেলা করার জন্য ব্যবসায়িক নেগোশিয়েশন, পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগ পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণের আহবান জানান।

ফারুক হাসান বলেন, “বর্তমানে পোশাক শিল্প এক চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, প্রতি নিয়ত তাৎক্ষণিক ভাবে উদ্ভূত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে শিল্প।

এ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা মূলক থাকার জন্য শিল্পের জন্য দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা অপরিহার্য।” বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম মান্নান (কচি), সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি দ্বয় এসএম আবু ত্যৈয়ব ও নাসির উদ্দিন চৌধুরী এবং বিজিএমইএএর বর্তমান বোর্ডের পরিচালক গন।

বৈঠকে ফারুক হাসান পোশাক শিল্পে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাব, নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ এবং দীর্ঘমেয়াদে শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখার অগ্রাধিকার গুলোর উপর আলোকপাত করে পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতির উপর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করেন।

তিনি বলেন, শিল্প বর্তমানে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি এবং ব্যাংক হারের বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে পোশাক শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরে ফারুক হাসান বলেন, মজুরি বৃদ্ধির লক্ষ্য হচ্ছে এশিল্পের কর্মীদের জন্য শোভন জীবিকা নিশ্চিত করা।

তিনি পোশাক প্রস্তুত কারকদের নতুন ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের জন্য পণ্যের মূল্য যৌক্তিক ভাবে বৃদ্ধি করার বিষয়ে ক্রেতাদের সাথে আলোচনা করার আহবান জানান।তিনি বলেন, শ্রমিকদের কল্যান মানেই তাদের উৎপাদন শীলতা বৃদ্ধি, যার সুফল পায় শিল্প।

ফারুক হাসান বলেন, “ইতিমধ্যেই আমি পোশাক শিল্পের মূল্যবান ক্রেতাদের কাছে চিঠি দিয়ে তাদেরকে আমাদের শ্রমিকদের জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন এবং মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে অর্ডারের জন্য মূল্য সমন্বয় করার অনুরোধ জানিয়েছি।”

তিনি নতুন মজুরি স্কেলে যাওয়ার জন্য ন্যায্য মূল্য এবং নৈতিক সোর্সিংয়ের গুরুত্বের উপর জোর দেন।

বিজিএমইএ পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নে সরকার এবং বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সাথে সক্রিয় ভাবে যুক্ত হয়ে কাজ করছে।

ফারুক হাসান সদস্য কারখানা গুলোকে উৎপাদন ব্যয় কমানোর উদ্ভাবনী উপায় গুলোখুঁজে বের করার, দক্ষতা বাড়াতে প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ এবং অপচয় কমানোর আহবান জানান।

ফারুক হাসান সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে পোশাক শিল্পের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, “আমরা আগেও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি এবং এমনকি শিল্প আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিল্পের সকল চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে এবং শিল্পের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সক্ষম হবো।”

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে