আগামী অর্থবছরে নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা পেতে যাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। ১ জুলাই থেকে এ ভাতা কার্যকর হবে। তবে এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই এটি কার্যকর করার পরামর্শ এসেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে।
বাজেট ঘোষণা উপলক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রথম থেকে নবম গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাবেন ১৫ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা, আর দশম থেকে বিংশ গ্রেডের কর্মীরা পাবেন ২০ শতাংশ হারে ভাতা।
তবে মহার্ঘ ভাতা কার্যকরের সঙ্গে সঙ্গে ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে পাওয়া ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে।
গত মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই হার চূড়ান্ত করা হয়েছে। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, ‘নতুন অর্থবছরে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হবে, তবে কিছুটা সময় লাগবে। মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কখন থেকে দিতে পারব, কত দিতে পারব—এটার জন্য কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছি।’
সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বছরের শুরুতে আলোচনা শুরু হলেও তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি ফের আলোচনা শুরু হয়েছে বিষয়টি নিয়ে।
জানা গেছে, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা আসতে পারে।
গত জানুয়ারি মাস থেকেই সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা কার্যকরের পরিকল্পনা ছিল সরকারের। সে অনুযায়ী উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংকটকালীন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ উদ্যোগের সামালোচনা করেন অর্থনীতিবিদরা। তখন সরে এলেও এখন নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এতে অতিরিক্ত মোট ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ ছিল ৮২ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত সরকারের আমলে বৈষম্যের শিকার চাকরিজীবীদের কয়েক দফায় পদোন্নতি দেওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বেড়ে ৮৪ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।