চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের ১০ টি উপগ্রুপের মধ্য ৭ টি উপগ্রুপের ৯৪ জন নেতাকর্মী সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন।পাশাপাশি তারা পদবঞ্চিতদের মূল্যায়নসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে তিনদফা দাবি পেশ করেন ।
বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অফিস কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।
দাবিগুলো হলো, ১. পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তকরণ। ২. পদপ্রাপ্ত নেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ক্রমানুসারে যোগ্যস্থানে পুনরায় মূল্যায়ন। ৩. নতুন কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয়। তিনি বলেন, দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণার ৩ বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো। এই কমিটিতে রাজপথের পরীক্ষিত ও ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে অযোগ্য ও বিতর্কিত অনেককে নতুন কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। যা সংগঠনকে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দিবে।
তিনি আরও জানান, তাদের এই দাবিগুলো কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে খুব শিগগির পাঠাবেন। যদি দাবি আদায় না হয় তাহলে আগস্টের পর কঠোর কর্মসূচি ও রাজপথে নেমে আন্দোলন করে অধিকার আদায় করবেন ।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চবি শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ রেড সিগনালের নেতা ও সহ-সভাপতি রকিবুল হাসান দিনার, বাংলার মুখ উপগ্রুপের নেতা ও সহ-সভাপতি আবু বকর তোহা, একাকার উপগ্রুপের নেতা ও সহ-সভাপতি মইনুল ইসলাম রাসেল। কনকর্ড উপগ্রুপের নেতা ও সহ-সভাপতি আবরার শারিয়ার, উল্কা উপগ্রুপের নেতা ও সহ-সভাপতি সুমন খান, এপিটাফ উপগ্রুপের নেতা এবং নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ আনাম পিননসহ আরও অনেক নেতাকর্মীর।
যাযাদি/এস