বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

গুচ্ছে বিশেষ মেরিট চেয়ে মাভাবিপ্রবি উপাচার্যের নিকট স্বারকলিপি প্রদান 

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
  ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:০৭
গুচ্ছে বিশেষ মেরিট চেয়ে মাভাবিপ্রবি উপাচার্যের নিকট স্বারকলিপি প্রদান 
ফাইল ছবি

গুচ্ছ অধিভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মাইগ্রেশন বন্ধ করে ও সাবজেক্ট মাইগ্রেশন চালু রেখে অতিদ্রুত গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ফাঁকা আসন পূরণ করার লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা গুচ্ছের আহ্বায়ক ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দকে স্বারকলিপি প্রদান করেন।

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকাল ২টায় মাভাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ভিসি কার্যালয়ে এসে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এই স্বারকলিপি অধ্যাপক আনোয়ারুল আজীম আখন্দের হাতে তুলে দেন এবং তাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করেন।

1

স্বারকলিপিতে বলা হয়, চূড়ান্ত ভর্তির পর সাধারণ আসন ফাঁকা এবং কোটার বরাদ্দ আসন সাধারণ শিক্ষার্থী দ্বারা পূরণ না করে কার্যক্রম বন্ধ করা এক প্রকার চরম বৈষম্য এবং অবিচার করার সামিল। গতবারের ন্যায় বিশেষ মেরিট প্রদান না করলে এবং কোটার আসন সাধারন শিক্ষার্থীদের দ্বারা পূরণ না করলে প্রচুর ফাঁকা আসন নষ্ট হওয়ার আশংকা করছি। প্রায় ৭/৮ মাসের অধিক সময় ধরে গুচ্ছের মেরিট মাইগ্রেশন চলমান রয়েছে এবং স্বস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ মাস ধরে ক্লাস পরীক্ষা চলছে। আমরা অপেক্ষমান থাকা শিক্ষার্থীরা এক ধরনের হতাশার ভিতরে সময় পার করছি। যেহেতু কৃষি গুচ্ছের চূড়ান্ত ভর্তির পর অনেক আসন ফাঁকা হবে বা হচ্ছে তাই আপনার কাছে আমাদের আকুল আবেদন এই ফাঁকা আসন গুলো অতিদ্রুত পূরণের লক্ষ্যে available for selection প্রদ্ধতিতে ভার্সিটি মাইগ্রেশন বন্ধ করে গতবারের ন্যায় শুধুমাত্র সাবজেক্ট মাইগ্রেশন অথবা গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ফাঁকা আসন পূরণের দাবি জানাচ্ছি।

সেখানে উল্লেখ করা হয়, কোটায় থাকা ফাঁকা আসন সাধারন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমন্বয় করে বিশেষ মেরিট প্রকাশ করতে হবে। কেননা প্রতিবছর দেখা যায় বহু আসন কোটার ফাঁকা থেকে যায় যা নষ্ট হয়ে যায়।

স্বারকলিপি জমা দেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে জয়শ্রী রাহা বলেন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার আমাদের জানিয়েছে সিট ফাঁকা আছে কিন্তু আর মেধা তালিকা দেওয়া যাবে না , সামনে সেমিস্টার পরীক্ষা।

তিনি আরো বলেন, এসব দায়ভার তো আমরা সাধারণ ওয়েটিং এ থাকা শিক্ষার্থীরা নিতে পারি না। উনাদের হাতে অপশন আছে চাইলে ১ সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত কার্যক্রম শেষ করতে পারে। উনারা available for selection/গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ফাঁকা আসন দ্রুত পূর্ণ করতে পারেন। আমাদের একটা সুযোগ দেওয়া হোক, এতে অনেকের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হবে।

সাদিয়া আক্তার সীন বলেন, জিএসটি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নোটিশ দিয়েছিল যে কৃষি গুচ্ছের চূড়ান্ত ভর্তির পর জিএসটি শেষ একটা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ফাঁকা আসন পূরণ করবে। এই ফাঁকা আসন গুলো শিক্ষার্থীদের অধিকার। ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে তারা এই আসন গুলো পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। যেহেতু অনেক সময় ইতোমধ্যে চলে গেছে ,সেই সাথে জিএসটি তে চান্স প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হ‌ওয়ায় কার্যক্রম দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তাই দ্রুত কার্যক্রম শেষ করতে ও শূন্য আসন গুলো পূরণ করতে গতবছরের মতো বিশেষ মেরিট তথা Available for selection কার্যকর করা উচিত বলে মনে করি।

রাইসুল ইসলাম বলেন, সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের অনেক সিট ফাঁকা আছে, এতে নতুনভাবে ভর্তি হতে পারবে অনেক শিক্ষার্থী। কিন্তু তারা যদি ফাঁকা আসন পূরণ না করেই কার্যক্রম স্থগিত করে। তাহলে ওয়েটিং থাকায় আমরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে হবো এবং চরম অন্যায় করা হবে। এজন্য খুব শীঘ্রই available for selection এবং varsity migration off করার মাধ্যমে ওয়েটিং এ থাকা স্টুডেন্টদের নিয়ে একটা মেরিট দেয়ার দাবি জানাই।

এই বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বলেন, গুচ্ছের যিনি আহ্বায়ক তিনি ২৪ টা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক তিনি সবার মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন, একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমরা যে শেষ মিটিং করেছিলাম সেই মিটিংয়ে ষষ্ঠবারের কার্যক্রম করেছি। এর আগে পঞ্চম পর্যন্ত শেষ হয়েছিল। এরমধ্যে কৃষি গুচ্ছ হয়েছে সেখানে অনেকে চলে গিয়েছে। কিন্তু আমরা কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় অক্টোবরের ২০ থেকে ক্লাস শুরু করেছি। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় হয়তো ক্লাস শুরু করতে সপ্তাহখানে দেরি করেছে। ২০-২৮ অক্টোবরের মধ্যে মোটামুটি সকল বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস শুরু করেছে। এটা ডিসেম্বর মাস আমাদের ছয় মাসে সেমিস্টার। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মিড টার্ম পরীক্ষা শুরু হয়ে যাচ্ছে, কারো কারো হয়েছে। আমাদের গত মিটিংয়ে প্রত্যেকটা ভিসি মহোদয় মতামত দিয়েছে ষষ্ঠবারের পর আর কোন সুযোগ নেই। কারণ তারা নতুন ভর্তি হলে মানিয়ে নিতে পারবে না। কারণ মিড টার্মগুলো হয়ে যাবে, ক্লাস কারো কারো ৫০% হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে ফাস্ট ইয়ারে এসে একটা ধাক্কা খাবে। কোন বিশ্ববিদ্যালয় রাজি হয় নাই ৭ম মেধা তালিকা প্রকাশ করার। কোন একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বা আহ্বায়ক একক সিদ্ধান্তে এটি করতে পারবে না, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় রাজি না হলে এটি করা সম্ভব নয়।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে