ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতি মি. অ্যান্টোনিও হারমান বেঞ্জামিন (Justice Antonio Herman Benjamin) বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, “তারা একটি দেশকে বদলে দিয়েছে এবং এর থেকে বিশ্ব একটি বিশেষ শিক্ষা গ্রহণ করেছে। এদেশের তরুণ প্রজন্ম যে বিশ্বকে বদলে দিতে পারে, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেটি তারা প্রমাণ করেছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ এই বক্তৃতার আয়োজন করে।
আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত মি. পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস ( Mr. Paulo Fernando Dias Feres ) বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. খুরশীদ আলম অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বিচারপতি মি. অ্যান্টোনিও হারমান বেঞ্জামিন পরিবেশ আইনের বর্তমান চ্যালেঞ্জ, আন্তর্জাতিক নীতিমালা এবং পরিবেশগত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আদালতের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বজুড়ে মানবজাতিকে বিভিন্ন সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ঐক্যবদ্ধভাবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানবিক কার্যক্রম ও নৈতিক মূল্যবোধ বজায় রাখা এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ আইনের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়গুলোকে আলোচনা করতে হবে। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্ম ও পৃথিবীকে রক্ষা করতে পরিবেশ সংরক্ষণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং জনগণকে সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে বিচারক, আইন প্রণয়নকারী সংস্থা, সরকার, শিক্ষাবিদ, গবেষক, পরিবেশকর্মী ও তরুণ প্রজন্মের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা দরকার।
রাষ্ট্রদূত মি. পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস বলেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। তাদের হাত ধরে দেশের যে কোন পরিবর্তন সম্ভব। পরিবেশ সংরক্ষণসহ সমাজের সকল ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য তিনি তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, আইনজীবী, গবেষক, পরিবেশকর্মী এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
যাযাদি/ এমএস