হলের আবাসন সংকট নিরসনের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সুলতানা রাজিয়া হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ করেছেন।
ওই হলের ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সুলতানা রাজিয়া হলে অবকাঠামোগতভাবে কোনো গণরুমের ব্যবস্থা না থাকলেও লাইব্রেরি, জিম রুম, কমন রুম এবং ডাইনিং রুমকে কাঠের তক্তা দিয়ে গণরুমে পরিণত করা হয়েছে। পাঁচটি ছাত্রী হলের মধ্যে শুধু সুলতানা রাজিয়া হলেই নিছক গণরুমে ডাবলিং করে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যান্য ছাত্রী হলের তুলনায় তীব্র সিট সংকটের বিষয়টি প্রভোস্টকে জানানো হলেও চলতি বছর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের উক্ত হলের আইসোলেশন রুমে ৭৭ জনকে সিট বরাদ্দ দেওয়ায় কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ছাত্রীরা।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, "আমরা আসন্ন ঈদের পর গণরুমের চেহারা দেখতে চাই না এবং আমরা চাই, এখন থেকে এক মাসের মধ্যে ব্লকের বিল্ডিংয়ে সিঙ্গেল বেড দিতে হবে।"
এসময় সুলতানা রাজিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন বলেন, সুলতানা রাজিয়া হলে প্রায় ৮৭৫ জন মেয়ে থাকে। এত শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা করার মতো জায়গা এই হলে নেই। ওই হলের ভিতরে একটি বাসা ছিল, যার মধ্যে অনেক ছাত্রীকে আমাদের জায়গা দিতে হয়েছে, যাকে ওরা গণরুম বলে। হলে বর্তমানে কোনো সিট খালি নেই, মেধা ও সিনিয়রিটির ভিত্তিতে আমরা তাদের রুম দিয়ে থাকি (রুম খালি থাকা সাপেক্ষে) কিন্তু এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি।
যাযাদি/ এস