ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার বিচার, নিরাপদ ক্যাম্পাস ও ঢাবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রদল।
বুধবার (১৪ মে) বিকেল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এই বিক্ষোভ করেন।
এসময় সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, এক দফা এক দাবি ঢাবি ভিসির পদত্যাগ, লড়াই লড়াই লড়াই চাই লড়াই করে বাঁচতে চাই অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাশেদ মন্ডল বলেন, জুলাই বিপ্লবে অনেক মায়ের কোল খালি হয়েছে তাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে আর কোন মায়ের কোল খালি যেন না হয়। সাম্য হত্যার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনি আরো বলেন যেই ভিসি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারে না তার আমরা পদত্যাগ চাই।
ঢাবি ভিসির আচরণ ঢোকাইয়ের মতো উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল আমিন বলেন, ফ্যাসিস্ট কায়দায় আমাদের সাম্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা যখন ঢাবির বাসভবনে ঘেড়াও করে তখন ঢাবি ভিসি শিক্ষার্থীদের উপর ঢোকাইয়ের মতো আচরণ করে। নামে বেনামে বিভিন্ন ভাবে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সাথে নিয়ে দেশে আবারও অরাজকতা সৃষ্টি করতে আবারও ছাত্রদলকে টার্গেট কিলিং করা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ছাত্রদল নেতা আরো বলেন, দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই সারাদেশে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের টার্গেট কিলিং করে যে হত্যা করা হচ্ছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করতে হবে। এ হত্যাকাণ্ড গুলো কারা ঘটাচ্ছে আমাদের কাছে এটা এখন পরিষ্কার। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি কিন্তু একটি পক্ষ এই গণঅভ্যুত্থানকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হন। নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা এলাকায়।