শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

স্বামী-স্ত্রী হলেও নোবেলের স্ত্রী তার সঙ্গে থাকেন না

যাযাদি ডেস্ক
  ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৪০

অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া সঙ্গীত শিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। তিনি কলকাতার একটি টিভি চ্যানেলে অংশ নিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পান। সে সময় কিছু গান তাকে বেশ জনপ্রিয় করে তুলে দর্শকদের কাছে।

এরপর তাকে আর পিছনে তাকাতে হয়। দেশে-বিদেশে নানা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও গান পরিবেশের কারণে বেশ অর্থকড়িও হাতে আসে। হয়তো সে কারণে বদলে গেছে নোবেলের জীবন। এখন আগে সে নোবেল আর নেই।

অবশ্য তার স্ত্রীর দাবি তিনি আর নোবেলের সঙ্গে থাকেন এসব কারণে। মাদক-নারী আর অশভ আচরণ নোবেল নিয়মিতই করে যাচ্ছেন। তার মানষিক বিকার ঘটছে। সে মানষিকভাবে অসুস্থ্য। পরিবর্তনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না তাই স্বামী-স্ত্রী হলেও তারা থাকছেন আলাদা।

এদিকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের সূর্বণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে গান গাইতে হিয়ে পারেননি নোবেল। সেদিন দেখা যায় শোতে ওঠে তিনি মাতলাবো শুরু করে দেন। নিজ হাতে ভাঙতে থাকে মাইকের স্টেন। আর সবারকে বলতে থাকে লাইট অফ. লাইট অফ। এভাবে কয়েকমিনিট চলার পর দর্শকরা বিরক্ত হয়ে তার দিকে বোতল ও সেন্ডেল ছুড়ে মারে। অল্পক্ষণ পরে গান পরিবেশ না করেই মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হন নোবেল।

জানা যায়, সেদিন গাওয়ার সময় ‘অসংলগ্ন’ আচরণ করেন কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দর্শকরা তার দিকে পানির বোতল ও জুতা ছুড়েন। গত ২৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

তবে এ ঘটনার পর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন নোবেল। নেটদুনিয়ায় চলছে জোর চর্চা। বিষয়টি নিয়ে নীরব ছিলেন নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। শনিবার (২৯ এপ্রিল) এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে সালসাবিল মাহমুদ বলেন— ‘সমস্যাটা যদি শারীরিক হতো হয়তো বা মানুষ কমেন্টে দোয়ার মাহফিল বসাতো। কিন্তু সমস্যাটা মানসিক তাও আবার মাদক ঘটিত। তাই মানুষের এমন প্রতিক্রিয়া।

তিনি লিখেন, আসলে বর্তমান যে রকম মানুষ নোবেল কোনো দিনই প্রথম থেকে এমন ছিল না সে। এটা আমার নিজেরই দীর্ঘদিনের দেখা নোবেল না। শোতে যাবার সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে নোবেলের নামাজ পড়া, সা রে গা মা পা চলাকালীন পুরো শুটিং ইউনিটকে বসিয়ে রেখে নামাজ পড়া আর সবার সাথে তার অমায়িক ব্যবহার। আর সেই মানুষটা এখন নিজের কার্যকলাপে নিজেই নিজেকে চিনতে পারে না। নিজের নিরহংকার রূপকে ঢেকে পরিবার ও ভক্তবৃন্দদের কাছে নিজের অস্বাভাবিক রূপ প্রকাশের দীর্ঘ প্রচেষ্টা।’

সোশ‌্যাল মিডিয়ার সূত্রে নোবেল-সালসাবিলের পরিচয়। পরবর্তীতে তা রূপ নেয় প্রেমের সম্পর্কে। আড়াই মাস সম্পর্কে থাকার পর ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর বিয়ে করেন তারা। অনেক দিন ধরে নোবেল-সালসাবিলের দাম্পত‌্য জীবনে টানাপড়েন চলছে। বিয়েবিচ্ছেদের নোটিশও পাঠিয়েছিলেন সালসাবিল। শোনা যায়, এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। তবে খুব শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে যাবেন তারা।

এর আগে সালসাবিল মাহমুদ গণ মাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমরা বিবাহিত কিন্তু একসঙ্গে থাকি না। মাদক সেবন, নারীঘটিত কারণেই মূলত নোবেলের সঙ্গে থাকি না। একের পর এক এরকম ঘটনা হলে একজন মানুষের সঙ্গে থাকা যায় না। মাদক বা নারীর প্রতি নোবেলের আসক্তি যে পর্যায়ে গেছে তা এখন আর কারো অজানা নয়। সবকিছু সবার সামনেই ঘটছে।’

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে