শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে নতুন অতিথি

গাজীপুর প্রতিনিধি
  ২৭ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:৫৪

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে করোনা মহামারীর মধ্যে ইমু পরিবারে জন্ম নিয়েছে নতুন ছানা। সাফারি পার্কে ইমুর ডিম ফুটে ছানার জন্ম হওয়ার ঘটনা দ্বিতীয়। এরআগে ২০১৮ সালের জানুয়ারীতে এই পার্কেই চারটি ইমুর ছানার জন্ম হয়েছিল। নতুন এ ছানা নিয়ে পার্কের ইমুর সংখ্যা ৮টিতে পৌঁছলো।

সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আনিসুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালে পার্ক প্রতিষ্ঠাকালীন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩টি ইমু পাখি আনা হয়েছিল। সম্প্রতি একটি মাদি ইমু পাঁচটি ডিম দেয়। তা থেকে গত ২০ ডিসেম্বর সকালে একটি বাচ্চা ফুটেছে। বাকি ডিমগুলো হতে আরও বাচ্ছা জন্মের আশা করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। রোববার সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করেছেন।

বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আনিসুর রহমান আরও বলেন, ইমু পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখি। এরা অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পাখিও বটে। বন্য পরিবেশে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে এদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সমতল তৃণভূমি বা খোলামেলা বন জঙ্গলে এরা বাস করে, এরা যাযাবর পাখি শ্রেণীর অর্ন্তভূক্ত। ইমু পাখি হলেও এরা উড়তে পারে না, তবে ঘণ্টায় ৪০ মাইল বেগে দৌঁড়াতে পারে। এরা দক্ষ সাতারুও বটে। ইমু খুব শান্তশিষ্ট ও ঔৎসুক পাখি। উট পাখির মত পা দিয়ে এরা আত্মরক্ষা করে থাকে কিন্তু এদের পায়ে থাকে ধারালো নখওয়ালা তিনটে আঙ্গুল। এদের শরীর বাদামি রঙের পালকে ঢাকা। ২ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে এবং সর্বোচ্চ ওজন হয় ৬০ কেজি পর্যন্ত। ডিম দেয়ার সময় হলে এরা বাসা বাঁধে। মা ইমু ডিম দেয়ার পর পুরুষ ইমু তাতে তা দেয়। এই সময় তারা ডিম ছেড়ে অন্য কোথাও যায় না। এমনকি খাওয়া-দাওয়া করে না। এরা সর্বভূক প্রাণী বিধায় এরা গাছপালা, ফলমূল, পোকা-মাকড় ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে থাকে।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান জানান, সাফারি পার্কে ইমু পাখি ডিম ফুটে বাচ্চা দেয়ায় আশার সঞ্চার হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বাকি ডিমগুলো থেকেও বাচ্চা ফুটবে।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে