শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফুুলবাড়ীতে শীতের পদধ্বনি, রাতে ঠাণ্ডা, দিনে গরম

ইউনুছ আলী আনন্দ, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)
  ০৩ নভেম্বর ২০২১, ১৭:০৮

দেশের উত্তরাঞ্চলের ভারত সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সর্বত্রে শীতের পদধ্বনি দেখা গেছে। বিকেলে গড়িয়ে আসলেই এখানে অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা। এ ঠাণ্ডার পরিধী বাড়ছে রাতে।

সকালে কুয়াশা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে এখানকার জনপদ। সকাল ৮ টা পর্যন্ত ঠান্ডা বিরাজ করছে। অক্টোবর মাসের শেষের দু’সপ্তাহ পর ও নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই এখানে কুয়াশা ও ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করছে।

এখনো পূর্ণাঙ্গ শীত নামার প্রায় এক/দেড় মাস দেরি হলেও নদ-নদী বেষ্টিত ও সীমান্ত ঘেঁষা জনপদ কুড়িগ্রামে শীতের পদধ্বনি দেখা দেয়ায় এখানকার শীত কাতর মানুষরা মোটা কাপড় পড়তে শুরু করেছে।

বিকেল গড়িয়ে গেলেই এখানকার মানুষজন মোটা কাপড় পড়ছেন। রাতে কাঁথা-কম্বল ব্যবহার শুরু করেছে। শিশু-কিশোরদের গায়ে জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ঠান্ডা নিবারণের মোটা কাপড়। এখানে আগাম ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় লেপ-তোষকের দোকানে ভিড় বেড়েছে।

স্থানীয় ঠান্ডা কাতর জোহরা বিবি বলেন, এবার কুড়িগ্রামে আগাম ঠান্ডা পড়েছে। আমরা এখন বিকেলে মোটা কাপড় ও রাতে কম্বল গায়ে দিচ্ছি। এবার কুড়িগ্রামে ঠান্ডা বাড়বে এমনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে কুড়গ্রামে বেড়ে যাওয়া ঠান্ডার অনুভূতিতে গ্রামে গ্রামে লেপ-তোষকের ফিরিওয়ালার আনাগোনা বেড়েছে। ভ্যান, অটোরিকশা এমনকি মোটরসাইকেল যোগে লেপ-তোষকের ফিরিওয়ালারা ঘুরছে গ্রাম-গঞ্জ। তারা হাক-ডাক দিচ্ছেন লেপ-তোষক বিক্রির জন্য।

এখানে একটি রেডিমেট লেপ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। একটি রেডিমেট তোষক বিক্রি করা হচ্ছে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। ধনুকারদের দোকানে একটি লেপ তৈরি করতে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা লাগছে।

সূদুর লালমনিরহাট জেলা থেকে ফুলবাড়ী উপজেলায় আসা লেপ-তোষকের ফেরিওয়ালা রঞ্জু মিয়া বলেন, কুড়িগ্রামে এখন ঠান্ডা পড়ায় আমি মোটরসাইকেল করে কুড়িগ্রামে লেপ-তোষক বিক্রি করতে এসেছি।

এখানকার গ্রাম-গঞ্জে একটি রেডিমেট লেপ বিক্রি করছি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। একটি রেডিমেট তোষক বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। তুলা ও কারিগর মূল্য দিয়ে একটি লেপ ও তোষক থেকে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, কুড়িগ্রামে মূলত অক্টোবর মাসের ১৫ দিন যাওয়ার পরেই ঠান্ডা নামতে শুরু করে। গত এক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামে ১৯ এর নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এবার অন্যান্যবারের চেয়ে কুড়িগ্রামে ঠান্ডার পরিধী অনেকাংশে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঠান্ডার বাড়ার সাথে এ জনপদে ঘনকুয়াশা ও শৈত্রপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে