শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পশু-পাখিতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে

ডা. আজিজুর রহমান
  ২৯ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

পশু-পাখিতে অ্যান্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার বন্ধের তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকার আইন করে পশুখাদ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধ করেছে। তারপরও অনিবন্ধিত পোল্ট্রি খামার, হ্যাচারি ও ফিড মিলে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হচ্ছে। মানুষ ও পশু-পাখিতে অ্যান্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও হেলথ সার্ভিসেস। তারা বলছেন, আর দেরি না করে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। ইতিমধ্যে অনেকগুলো অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে গেছে। রিজার্ভড অ্যান্টিবায়োটিকগুলোও সহজেই ব্যবহার করা হচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নতুন কোনো কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ভাবন করা না গেলে সংকট ঘনীভূত হবে। তাই জীবন রক্ষাকারী রিজার্ভড অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিস্নউএইচও) কর্মকর্তা মোহাম্মদ রামজি ইসমাইল বলেন, পশুপাখি, মানুষ আমরা সবাই একই পরিবেশ, মাটি ও পানি ব্যবহার করছি। কাজেই একের অপরিণামদর্শী পদক্ষেপ অন্যের বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। ইসমাইল বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিচক্ষণ একজন মানুষ। ওয়ান হেলথ গেস্নাবাল লিডার্স গ্রম্নপ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সে তার ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আশা করা যায়, আগামীতে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে অর্থবহ কিছু করে দেখাবে।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)-এর সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, হাত বাড়ালেই যেখানে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায় সেখানে আমদানি কিংবা উৎপাদনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা না গেলে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন।

তিনি বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত ডিম ও মাংস উৎপাদনে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এজন্য খামারে জীবনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, খামার ব্যবস্থাপনা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে এবং সব অনিবন্ধিত পিএস ফার্ম, হ্যাচারি, ফিড মিলগুলোকে অবশ্যই সরকারি নীতিমালার আওতায় আনতে হবে নতুবা বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে আরও কঠোর হতে হবে এবং সরকারি সংস্থা, বেসরকারি উদ্যোক্তা ও উন্নয়ন সহযোগীদের যৌথ উদ্যোগে অচিরেই একটি অ্যাকশন পস্ন্যান তৈরি করে কাজে নামতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে