শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগ নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা

ম আবু সুফিয়ান সরকার শুভ
  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

আনন্দ-অশ্রম্নতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একদিকে হাস্যোজ্জ্বল নবীনরা অন্যদিকে পুরনোদের অশ্রম্নসিক্ত বিদায়। আনন্দ আর অশ্রম্নর মধ্যদিয়ে বিভাগটি বরণ করে নিল নতুনদের আর বিদায় জানাল পুরনো শিক্ষার্থীদের। অনুষ্ঠানে সমাজকর্ম বিভাগের ১৬তম ব্যাচকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়। একই অনুষ্ঠানে বিদায় জানানো হয় স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সর্বশেষ দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ১০ ও ১১তম ব্যাচ বিদায় এবং ১৬তম ব্যাচের নবীনবরণ উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং দিকনির্দেশনামূলক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. ইমদাদুল হক। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডক্টর কামালউদ্দীন আহমদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মনমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর গোলাম এম মাতবর রহমান?

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর মো. আবুল হোসেনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর রাজিয়া সুলতানা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মান প্রদর্শন পূর্বক জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এরপর নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। নবীনদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠের মাধ্যমে এবং বিদায়ীদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করা হয়? এ ছাড়া বিদায়ী মেধাবীদের মধ্যে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডক্টর মো. ইমদাদুল হক বলেন, যারা নবীন শিক্ষার্থী তোমরা ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছ এজন্য আমার পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। কেউ সিলেট, কেউ কুড়িগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহ এমনকি দেশের ভিন্ন প্রান্ত থেকে তোমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছ। কলেজে তোমাদের পরিচিত ছিল কিন্তু এখানে নতুন একটা পরিবেশে নতুন একটা আঙ্গিক তোমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গার বন্ধু। বিশ্ববিদ্যালয় মানে একটা বিশ্ব, বিশ্বায়নে প্রবেশ। বাংলাদেশ আঙ্গিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া মানে নতুন একটা বিশ্বে প্রবেশ করা, এজন্য আবার তোমাদের অভিনন্দন জানাই। আমাদের এখানে ডিবেটিং সোসাইটি আছে, সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে খেলাধুলার ব্যবস্থা আছে তোমরা খেলাধুলার পাশাপাশি কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসের সঙ্গে যুক্ত হবে।

এছাড়া তিনি বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা দীর্ঘদিন ধরে আটকিয়ে থাকার কারণ রয়েছে, করোনা মহামারির কারণে আমরা চেষ্টা করছি অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার? এমনকি অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার নীতিমালা পর্যন্ত তৈরি করেছি। আলস্নাহর রহমত ওপর্যন্ত আমাদের যেতে হয়নি। আমরা তোমাদের স্বশরীরে পরীক্ষা নিতে পেরেছি এবং সাকসেসফুলি তোমাদের কোর্স কম্পিলিট করে নতুন একটা জগতে প্রবেশের জন্য তোমাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। তোমরা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হবে এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে অবদান রাখবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডক্টর গোলাম এম মাতবর নবীন শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার পস্ন্যানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এবং জবির সমাজকর্ম বিভাগের উন্নতির লক্ষ্যে তিনি কিছু বই তুলে দেন। এছাড়া সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি স্ত্রীর নামে এক বিশেষ বৃত্তির আয়োজনের কথা জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডক্টর রাজিয়া সুলতানা বলেন, তোমরা শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য এখানে এসেছ। কোনো সমস্যা হলে আমাদের জানাবে। আমাদের না জানিয়ে কোনো দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ক্লাস বর্জন করবে না। এছাড়া সমাজকর্ম সমিতির পক্ষ থেকে আমরা কো-কারিকুলার, কারিকুলামের ভিত্তিতে ৩টি ভিন্নধর্মী বৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। আমরা সার্বিকভাবে তোমাদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা শেষে নবীনবরণ উপলক্ষে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে নাটক, গান, কৌতুক, অভিনয়সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বিভাগের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এবং অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে