শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষেপ

নতুনধারা
  ১৬ জুন ২০২১, ০০:০০

শরীর ভালো রাখতে মন খুলে গালাগাল

ছেলেবেলা থেকে আমাদের শেখানো হয়, গালাগাল করা অন্যায়। ছাত্রজীবনে বাড়ির লোকের সামনে মুখ খারাপ করলে শাস্তি ছিল অবধারিত। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গালাগাল করা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। হঁ্যা, ভুল পড়েননি, গবেষকদের দাবি, গালাগাল করলে রাগ কমে। ফলত, হালকা হয় মন।

কখনো খেয়াল করে দেখেছেন, রাগের মাথায় এলোপাতাড়ি 'বিশেষণ' ঝাড়লে 'রিল্যাক্সড' লাগে? এ প্রসঙ্গে 'যব উই মেট' হিন্দি সিনেমাটির কথা মনে আসতেই পারে। শাহিদ কাপুরের বুদ্ধিতে লেঙ্গি মারা বয়ফ্রেন্ডকে তুমুল গালি দিয়েছিলেন কারিনা কাপুর। তাতে বিষণ্নতা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পেয়েছিল কারিনা অভিনীত চরিত্র গীত। এই থেরাপিকেই কিন্তু সিলমোহর দিচ্ছেন কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

তারা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়েছেন, মন খুলে গালাগাল দিলে রাগ প্রশমিত হয়, ফলে মন তাজা হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ওপরেই চালানো হয়েছিল এক অভিনব পরীক্ষা। প্রচন্ড ঠান্ডা জলে হাত চুবিয়ে রাখতে বলা হয়েছিল তাদের। দেখা গেল, যারা এই অবস্থায় গালাগাল করেছে তারা বেশিক্ষণ হাত ডুবিয়ে রাখতে পেরেছে। গালাগালি না দেওয়া 'ভদ্রসভ্য' ছাত্ররা হাত তুলে নিয়েছে অনেক আগে।

আজকের যুগে অবশ্য গালাগাল দেওয়াটাই ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। রাস্তাঘাটে নির্দ্বিধায় শ-কার ব-কার করছে লোকজন। প্রভাব পড়েছে সাংস্কৃতিক জগতেও। সিনেমা, থিয়েটারের সংলাপে প্রবলভাবে ঢুকে পড়েছে 'অশ্লীল' শব্দ। সিনেমার ক্ষেত্রে 'বিপ' শব্দ দিয়ে আড়াল করা গেলেও থিয়েটারে তা হয় না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্রমাণ করলেন, এই নিয়ে যতটা ছুঁতমার্গ দেখাই আমরা, ততটা না দেখালেও চলে। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপার বলে কথা।

সূত্র : অনলাইন

লেবুর পাতায়ও

আছে উপকারিতা

শুধু লেবু নয়, লেবুর পাতাতেও রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ। প্রাচীনকাল থেকেই লেবু এবং এর পাতা ভেষজ চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। খাবার সুস্বাদু করার পাশাপাশি লেবু খুবই স্বাস্থ্যকর। লেবুর ঘ্রাণ যে কোনো খাবারে আলাদা করে স্বাদ এনে দেয়। যে কোনো খাবারই লেবুর গুণে সুস্বাদু হয়ে ওঠে।

লেবুতে ভিটামিন-সি থাকায় তা ইমিউনিটি বাড়াতে সক্ষম। শুধু লেবুই নয় লেবুর পাতাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির গুণাগুণ রয়েছে।

বমি করার প্রবণতা থাকলে, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কাছে রাখতে পারেন লেবুর পাতা। এর ঘ্রাণে বমিভাব কেটে যাবে।

লেবুর পাতার রস খেলেও শরীরের বাড়তি ওজন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। দাঁতে কালচে ছোপ দূর করতে লেবুর পাতার সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে দাঁত মাজতে পারেন। দিনের বেলা কাজের কারণে মাথাব্যথার সমস্যা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়, লেবুর পাতার রস শুকিয়ে খেলে অল্প সময়ের মধ্যেই মাথাব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। খালি পেটে প্রতিদিন সকালে এক চামচ লেবু পাতার রস এবং এক চামচ জলপাইয়ের রস খেলে পেটের পাথরের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

বাচ্চাদের পেটের কৃমির সমস্যা থাকলে ১০ গ্রাম লেবুর পাতার রসের সঙ্গে ১০ গ্রাম মধুর মিশ্রণ খেলে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পেটের কৃমি থেকে মুক্তি পেতে পারে।

য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

প্রতিদিন ৩ গস্নাস গরম পানি পানের উপকারিতা

সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ গস্নাস গরম পানি পান করা উচিত। এভাবে নিয়মিত গরম পানি পানে কমবে অনেক রোগ।

ওজন কমে: ওজন কমানোর জন্য এতদিন হয়তো অনেক কিছুই ট্রাই করেছেন; কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার টানা তিন মাস প্রতিদিন অন্তত ৩ গস্নাস করে গরম পানি খেয়ে দেখুন। পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন।

রক্ত চলাচল: শরীরে রক্ত চলাচল সচল রাখে গরম পানি। ফলে শরীর অনেক ঝরঝরে আর সতেজ থাকে।

জয়েন্ট পেইন: গরম পানি হাড় এবং পেশির সংযোগস্থলগুলো অনেক মোলায়েম রাখতে সাহায্য করে। ফলে ব্যথা কমে যায়।

চুল ভালো রাখে: চুল ও ত্বকের জন্য গরম পানি খুবই ভালো। হালকা গরম পানি খেলে চকচকে হয় চুল ও ত্বক। চুলের স্থায়িত্ব বাড়ে, চুল গজায়।

ডিটক্স: শরীরকে রেচনমুক্ত করতে সাহায্য করে। শরীরের ভেতরের খারাপ পদার্থগুলো বাইরে বের করে দেয় পানি এবং শরীরকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে