ভোলা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কার্যকরী কমিটির ১৩ পদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সভাপতিসহ বিএনপি প্যানেলের ৮ জন এবং সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ প্যানেলের ৫ জন নির্বাচিত হয়েছেন। তবে একটি ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নামের সামনের নির্ধারিত স্থানে ক্রস চিহ্ন দেওয়া নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। যদিও পরে বিষয়টি সুরাহা হয়েছে।

উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ভোলা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৩টি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেল ২৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সভাপতি পদে বিএনপি প্রার্থী মো. ফরিদুর রহমান ৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী স্বপন কৃষ্ণ দে পেয়েছেন ৯৬ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদ বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মাহাবুবুল হক লিটু। তিনি পেয়েছেন ১১০ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত আমিনুল ইসলাম বাছেত পেয়েছেন ৮২ ভোট।

রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নির্বাচন পরিচালনা করেন ল্যান্ড সার্ভে টাইবু্যনালের বিচারক যুগ্ম জেলা জজ মো. সামছুদ্দিন এবং সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অ্যাডভোকেট এ কে এম নাছির উদ্দিন আহম্মেদ।

চেক ডিসঅনার মামলা দায়েরে আদালতের অধিক্ষেত্রের প্রাসঙ্গিকতা

এক ভোট নিয়ে উত্তেজনা

জানা গেছে, ভোলা জেলা আইনজীবী সমিতির ২০০ ভোটারের মধ্যে ১৯৭ জন ভোট প্রদান করেছেন। এর মধ্যে একজন ভোটার গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যালট পেপারে ক্রসচিহ্ন না দিয়ে টিকচিহ্ন দেওয়ায় প্রাথমিকভাবে ওই একটি ভোট বাতিল করা হয়। কিন্তু অপর একজন ভোটার প্রার্থীদের নামের সামনে অঙ্কিত নির্ধারিত খালি ঘরে ক্রসচিহ্ন না দিয়ে প্রার্থীর নামের সামনেই ক্রসচিহ্ন দিয়েছেন এবং নির্বাচন কমিশন এই ভোটটি গণনা করেন।

এই ব্যালটে সভাপতি পদে বিএনপি প্রার্থী ভোট পেয়েছেন। কিন্তু ভোট গণনা শেষে যখন দেখা গেছে, মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হচ্ছেন। তখন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সমর্থকরা ক্রসচিহ্ন দেওয়া ভোটটিও বাতিল করার দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষ বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ায় ফলাফল ঘোষণা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়।

পরবর্তী সময়ে নির্বাচন কমিশন ভোলা বারের সিনিয়র সদস্যদের নিয়ে গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে ক্রসচিহ্ন দেওয়া ভোটটি গণনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর পর সভাপতি পদে বিএনপি প্রার্থী ফরিদুর রহমানকে বিজয়ী করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।