সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইরানে আরও কঠিন হচ্ছে হিজাব আইন

আইন ও বিচার ডেস্ক
  ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

এক বছর আগে হিজাববিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল ইরান। যথাযথভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে মাহসা আমিনি নামে ২২ বছরের এক তরুণীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের নীতি পুলিশ। এরপর পুলিশি হেফাজতে মৃতু্য হয় তার। পুলিশের বিরুদ্ধে মাহসার উপরে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনাকে সূত্র করেই হিজাববিরোধী আন্দোলন শুরু হয় ইরানের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার হিজাব-আইনকে আরও কঠিন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিল পাস হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। ইতোমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে, নতুন আইনে মেয়েরা পোশাক বিধি না মানলে ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত জেল। সেই সঙ্গে প্রায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।

ইসলামিক দন্ডবিধির ৩৬৮ ধারাকে হিজাব আইন বলা হয়। আগেও হিজাব না পরলে এই আইনে শাস্তি হতো। তবে ১০ দিন থেকে দু'মাস পর্যন্ত জেল, এক লাখ টাকার বেশি জরিমানা। এখন সেটাই সর্বোচ্চ প্রায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কারাদন্ডের মেয়াদ বেড়ে ৫ থেকে ১০ বছর।

প্রশাসনের তরফে থেকে জানানো হয়েছে, ইরানে মেয়েদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। জনসমক্ষে যারা যথাযথভাবে মাথা ঢাকবেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন না মানলে গ্রেপ্তার করা হবে এবং 'পুনর্শিক্ষা' ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ এই নামেই বলে। অর্থাৎ কথা না মানলে 'উচিত শিক্ষা'।

শুধু হিজাব পরাই নয়, 'সতীত্ব' বজায় রাখতে হবে মেয়েদের। চারিত্রিক শুদ্ধতা বজায় না রাখলেই শাস্তি। তবে মাথা যথাযথভাবে ঢাকা না হলে তা সর্বোচ্চ অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। কোনো সেলেব্রিটি যদি আইন ভাঙেন, তা হলে তার শাস্তি আরও কঠিন। ওই ব্যক্তির সম্পদের ১০ ভাগের এক ভাগ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে সরকারকে। একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য তিনি কাজকর্ম করতে পারবেন না। আন্তর্জাতিক সফর করতে পারবেন না। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনো ব্যবসায়ী যদি তার দপ্তরের মহিলা কর্মীদের হিজাব পরায় ছাড় দেন, তা হলে ব্যবসার তিন মাসের লভ্যাংশ জরিমানা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়, প্রশাসনিক দপ্তর, পার্ক, পর্যটন কেন্দ্র, হাসপাতালগুলোতে নারী-পুরুষ ভাগ আরও স্পষ্ট করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে