খুলনার পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। উপজেলা শহরে শিশু বিশেষজ্ঞ ছাড়া চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ফলে হাসপাতালে মিলছে না সু-চিকিৎসা। প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র অসহায় মানুষেরা সুচিকিৎসা না পাওয়ায় বিপাকে পড়ছেন। অতিরিক্ত শীতের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
উপজেলা শহর থেকে জেলা শহরের দূরত্ব প্রায়-৭০ কিলোমিটার হওয়ায় চিকিৎসা নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। জেলা শহরগুলোতে চিকিৎসা নেওয়া একটি ব্যয়বহুল যেটা সাধারণ মানুষের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। জেলা শহরে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমসিম খেতে হয় মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত পরিবারে। অধিকাংশ পরিবার খরচের ভয়ে স্থানীয় মেডিকেল ডাক্তারের শরণাপন্ন হচ্ছেন। ফলে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বেশি ভাগ শিশু রুগী।
পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় শিশু রোগী বাড়ায় সমস্যা প্রকট হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতেও রোগীর চাপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। খুলনা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পাইকগাছা উপজেলায় জ্বর, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আক্রান্ত শিশুদের অধিকাংশের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় স্বাস্থ্যকর্মী দিয়েই চলছে চিকিৎসা সেবা।
আশাশুনীর বড়দল গ্রামের নিহার রঞ্জন মন্ডলের শিশু পুত্র রিদ্দিমান (৩) শিশু ডায়রিয়ায় ভর্তি রয়েছে। রিদ্দিমানের বাবা নিহার রঞ্জন মন্ডল বলেন, এখানে মোটামুটি চিকিৎসা পাচ্ছি কিন্ত শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকলে আর ও ভাল চিকিৎসা সেবা পেতাম।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার বলেন, পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন শুন্য রয়েছে শিশু কনসালটেন্ট পদ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় মেডিকেল অফিসার দিয়ে শিশুদের চিকিৎসা প্রদান করেন। সমস্যা জটিল হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে ২৬ জন এর ভেতরে ১৫ জনের ডায়রিয়া, ৭ জন শ্বাসকষ্ট ৪ জন অন্যান্য রোগে আক্রান্ত। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ভর্তি রয়েছে ১২ জন বলে জানা যায়।
যাযাদি/এসএম