কলমাকান্দার দশ বছরের শিশু তাইবা। সে হার্টে ছিদ্র নিয়েই জম্ম নিয়েছে। তাকে বাঁচাতে হন্যে হয়ে ঘুরছিলেন মা মোমেনা খাতুন। অবশেষে শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
সোমবার রাজধানীর ঢাকা মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। তাইবা নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের হাটশিরা-শিবনগর গ্রামের মৃত ওয়াশ কুরুনি’র মেয়ে। সে নাজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশুনা করে।
এর আগে হার্টে দুটি ছিদ্র নিয়ে জন্ম নেওয়া আব্দুল্লাহ নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে অস্ত্রোপচার শেষে সুস্থ করে বাড়ি পাঠিয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
জানা গেছে, তাইবার বাবা গত সাত বছর আগে মারা গেছেন। অভাব-অনটনের সংসারে মা মোমেনা খাতুন অন্যের বাড়িতে কাজকর্ম করে কোন রকমে সংসার খরচ চালান।গত এক বছর আগে হঠাৎ করে তাইবা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধরা পরে তাইবার হার্টে ছিদ্র।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সে হার্টে ছিদ্র নিয়েই জম্ম নিয়েছে। দ্রুত শিশুটির হার্টে অস্ত্রোপচার করতে হবে। তবে আর্থিক টানাপোড়েনের সংসারে এই শিশুর চিকিৎসার খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন মা মোমেনা খাতুন। হাত পাতেন বিভিন্ন লোকজনের কাছে।
কিন্তু এত টাকা সংগ্রহ করা কোন ভাবেই যেন তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিলনা। পরে তাইবাকে নিয়ে তার মা মোমেনা খাতুন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সঙ্গে দেখা করেন। বলেন, তার অসহায়ত্বের কথা।
শুনে শিশু তাইবা’র পাশে দাঁড়ান কায়সার কামাল। তিনি শিশুটির চিকিৎসাসেবার জন্য যাবতীয় ব্যয়ভার নেন।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রতিনিধি কে বলেন, কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার অসহায় প্রতিটি মানুষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে একাধিক হেল্থ ক্যাম্পের আয়োজন করেছেন।
এরপর জন্মগতভাবে হার্টের ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণকারী কয়েকটি শিশুর পরিবারের লোকজন ওইসব শিশুর চিকিৎসার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করেন।
তিনি মানবিক কারণেই আবদুল্লাহ নামে এক শিশুর সফল অস্ত্রোপচারের পর তাইবা নামে অপর এক শিশুর অস্ত্রোপচার করিয়েছেন।
পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত এই প্রচেষ্টা চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।