ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য হওবার স্বপ্ন দেখছে ইউক্রেন। কিন্তু ইউক্রেনের জন্য মানবিক, আর্থিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে এলেও দেশটিকে অনতিবিলম্বে পূর্ণ সদস্য করার কথা এখনো ভাবতে পারছে না ইইউ৷
প্রায় এক বছর ধরে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা চলছে৷ ২০১৪ সাল থেকেই দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতা হুমকির মুখে৷ হামলার মুখে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বারবার ব্যাহত হচ্ছে৷
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ও ইউরোপীয় সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে শুক্রবার ফের বৈঠকে বসছেন৷ বৃহস্পতিবারই ফন ডেয়ার লাইয়েন ট্রেনে করে কিয়েভে পৌঁছেন৷
ইইউ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ইউক্রেনের শীর্ষ সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন৷ বৃহস্পতিবারের আলোচনার পর জেলেনস্কি জানান, একমাত্র শক্তিশালী ইউক্রেন ও শক্তিশালী ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিলে ও আরও সমন্বয়ের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত জীবনযাত্রা অর্জন করা সম্ভব৷ এভাবেই বাধা ও হুমকি সত্ত্বেও মানুষ শক্তি ও প্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে৷
রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া নিষেধাজ্ঞার দাবি করছেন জেলেনস্কি৷ ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ইইউ নতুন দফার শাস্তিমূলক পদক্ষেপের যে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তা যথেষ্ট জোরালো নয় বলে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন৷
এমনই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার কিয়েভে বসছে ইইউ-ইউক্রেন শীর্ষ সম্মেলন৷ ইউক্রেনের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি জোরালো সমর্থন জানালেও যুদ্ধের মধ্যে ‘ফাস্ট ট্র্যাক’প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই দেশকে দ্রুত সদস্য করার পথে অগ্রসর হতে নারাজ ব্রাসেলস৷ সম্প্রতি ইউক্রেনে দুর্নীতি দমন অভিযানের প্রশংসা করেছে ইইউ৷
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইইউ আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক বছর সময় লাগবে বলে কিয়েভকে মনে করিয়ে দিয়েছেন ব্রাসেলসের কর্মকর্তারা৷
ইউক্রেনের সরকার দ্রুত সব শর্ত মেনে চলতি বছরের শেষেই আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করতে চান৷ গত বছরের গ্রীষ্মকাল থেকে ইউক্রেনের অগ্রগতির প্রশংসা করেন ফন ডেয়ার লাইয়েন৷
এসএম