শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

পবিত্র ঈদুল ফিতরে রাজধানী ছেড়েছেন ১ কোটি মানুষ

যাযাদি ডেস্ক
  ১০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৬
ছবি সংগৃহীত

এক মাস রোজা পালনের পর এলো খুশির ঈদ। আর সবার ইচ্ছে ঈদ স্বজনদের সঙ্গে করা। তাই নাড়ীর টানে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে অনেকে যান গ্রামে। যেখানে আছেন প্রিয় স্বজনরা। অনেকে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন কিন্তু ঈদের সময় সবাইকে নিয়ে বাড়ী যান ঈদ করার জন। ঈদের পর আবার ফিরে আসেন রাজধানী ঢাকায়। এবারের ঈদুল ফিতরে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা ছেড়ে নিজ জেলা শহর ফেনীতে যাচ্ছেন ব্যাংকের চাকরিজীবী কামরুল হাসান। সোমবার ( এপ্রিল) রাজধানীর মানিকনগর দূরপাল্লার বাস ট্রর্মিনালে এই ব্যাংকারের সঙ্গে কথা হয় ভয়েস অফ আমেরিকার।

তিনি বলেন, “১৫ রমজানে (২৫ মার্চ) ছেলে-মেয়ের স্কুলের ছুটির পর পরিবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন অফিস শেষ করে নিজে যাচ্ছি।শুধু কামরুল হাসান নয়, তার মতো প্রায় কোটির বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন এবারের ঈদে। এখন ঢাকায় বসবাসকারী নাগরিকেরা বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি নাগরিক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে সারাবছর দূষণের শীর্ষ থাকা ঢাকার বায়ু মান উন্নতি ঘটবে বলে আশা করছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।

ফাঁকা ঢাকায় সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা পড়তে হবে নগরবাসীকে। গণপরিবহনের স্বল্পতায় বাড়বে যাতায়াত ব্যয়। কাজের লোকের অভাবে অনেকে পড়তে হবে ভোগান্তিতে। চুরি-ডাকাতি এবং ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বাংলাদেশে থেকে পরিচালিত একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে কাজ করেন মনোজিৎ মিত্র। এই সংবাদকর্মী এবার ঈদের বিশেষ ডিউটিতে ঢাকায় থাকবেন। তিনি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদে ঢাকা শহরে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। তবে, কিছু অসুবিধাও আছে।

মনোজিৎ মিত্র বলেন, “সুবিধাগুলো হচ্ছে- ঈদে ঢাকায় মানুষ কম থাকায় রাস্তায় যানবাহন কম চলাচল করে। এতে যানজট থাকে না, শব্দ দূষণও কম হয়। কম সময়ে যাতায়াত করা যায়। রাস্তাঘাটের পরিবেশও ভালো থাকে।

তিনি আরও বলেন, “রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোও অন্য সময়ের তুলনায় ফাঁকা থাকে। সহজে বিভিন্ন জায়গায় এবং দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঘোরাঘুরি করা যায়।ঈদের ছুটিতে বাসায় লোডশেডিং তুলনামূলক কম থাকে উল্লেখ করেন এই সংবাদকর্মী।

তিনি বলেন, “বিদ্যুতের অভাবে অনেক কাজ সঠিক সময়ে শেষও করতে পারি না। কিন্তু ঈদের সময় কলকারখানা বিপনি বিতান গুলো বন্ধ থাকায় বাসা-বাড়িতে লোড়শেডিং কমে যায়। এতে অনেক অসুবিধা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রগুলো ভালো থাকে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে