মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

ট্রাম্পের নির্দেশে সিরিয়ার উপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০১ জুলাই ২০২৫, ১৫:২৪
আপডেট  : ০১ জুলাই ২০২৫, ১৫:৩৩
ট্রাম্পের নির্দেশে সিরিয়ার উপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
সৌদি আরবের রিয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান আহমেদ আল-শারা। ১৪ মে, ২০২৫ছবি: এএফপি

সোমবার সিরিয়ার ওপর প্রায় সব অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির নতুন অন্তর্বর্তী নেতা আহমেদ আল-শারা’র সঙ্গে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে এ পদক্ষেপ নিলেন ট্রাম্প।মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ‘দেশটির স্থিতিশীলতা ও শান্তির পথে যাত্রাকে উৎসাহিত ও সমর্থন দিতেই’ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ট্রেজারি বিভাগের সন্ত্রাস ও আর্থিক গোয়েন্দাবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি ব্র্যাড স্মিথ জানান, এই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ‘আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে দেশটির বিচ্ছিন্নতা শেষ হবে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যের পথ খুলে দেবে এবং অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকেও বিনিয়োগ আকর্ষিত হবে।’

তবে সোমবারের আদেশে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, তার শীর্ষ সহকারী, পরিবারের সদস্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন, মাদক পাচার বা রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচিতে জড়িত কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি। ‘সিজার অ্যাক্ট’ নামে পরিচিত এসব নিষেধাজ্ঞা কেবল আইন পাসের মাধ্যমে প্রত্যাহার করা সম্ভব।

সোমবার স্বাক্ষরের পর হোয়াইট হাউস এক্স-এ নির্বাহী আদেশের পূর্ণ লেখা প্রকাশ করেছে, তবে স্বাক্ষরের সময় সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

চলতি বছরের মে মাসে সিরিয়াকে প্রথমবারের মতো ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা অব্যাহতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় ১৩ বছর ধরে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত একটি দেশের ওপর অর্ধশতাব্দী ধরে চলা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রথম ধাপ ছিল এটি।

সোমবারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সিরিয়ার লেবানন দখল এবং গণবিধ্বংসী অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পরিচালনার জেরে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ যে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছিলেন, সেটিও প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিরিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও পাঁচটি নির্বাহী আদেশও বাতিল করা হয়েছে।

তবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং ক্যাপ্টাগন নামক অ্যামফেটামিন-জাতীয় মাদক উৎপাদন ও বিক্রেতাদের লক্ষ্য করে থাকা নিষেধাজ্ঞাগুলো বহাল থাকবে।

গত মে মাসে সৌদি আরবে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী নেতা আহমেদ আল-শারা’র সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প তাকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং যুক্তরাষ্ট্র-সিরিয়া সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অঙ্গীকার করেছিলেন।

লেভিট বলেন, ‘এটি আরেকটি প্রতিশ্রুতি পূরণ। ট্রাম্প যা বলেছেন, তাই করেছেন।’

এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নও সিরিয়ার ওপর প্রায় সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।

তবে এখনও কিছু বিধিনিষেধ বহাল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো সিরিয়াকে ‘সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র’ এবং আল-শারা নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে রেখেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে