প্রায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আল কুরআনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এসব প্রতিযোগিতায় বিশ্বের প্রায় সব দেশের প্রতিযোগিরা অংশগ্রহণ করে। বিশেষ করে বাংলাদেশের হাফেজরা অংশ নেন। এবং তারা প্রতিযোগিতায় সব সময় ভালো করেন। এবং এমনি একটি প্রতিযোগিতায় ১১৭টি দেশের ১৬৬ জন হাফেজ অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশের দুইজন হাফেজ নিজ নিজ গ্রুপে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন।
সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় ৪৩তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় দুই বাংলাদেশি হাফেজ নিজ নিজ গ্রুপে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন।
বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মসজিদে হারামের নতুন সম্প্রসারিত অংশে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের পক্ষ থেকে পুরস্কারের অর্থ ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন মক্কা মোকাররমার গভর্নর শায়খ বান্দার বিন সুলতান বিন আব্দুল আজিজ ও সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রী শায়খ ড. আব্দুল লতীফ।
প্রতিযোগিতায় তাজবিদসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ গ্রুপে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন হাফেজ ফয়সাল আহমদ। পুরস্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ৫২ লাখ টাকা), সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট।
প্রতিযোগিতায় তাজবিদসহ ১৫ পারা হিফজ গ্রুপে অংশ নেওয়া অপর প্রতিযোগী হাফেজ মো. মুশফিকুর রহমান চতুর্থ স্থান লাভ করেছেন। তিনি পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল (৩৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা), সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট।
প্রতিযোগিতায় ১১৭টি দেশের ১৬৬ জন হাফেজ অংশ নেন।
পুরস্কার বিতরণী আরও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— কাবার খতিব শায়খ সালেহ আল হুমাইদ, শায়খ আব্দুর রহমান আস সুদাইস, শায়খ মাহের আল মুআইকিলী, শায়খ ইয়াসির আদ দাওসারী, মসজিদ বিষয়ক সচিব শায়খ সুলাইমান বিন ফাহাদ, বিচারক কমিটির চেয়ারম্যান ও কিং সালমান বিন আব্দুল আজিজ প্রাসাদ এর খতিব শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আশ শিছরী, মুহাম্মদ বিন আহমদ আল বারহাজী, প্রতিযোগিতার বিচারক বাংলাদেশের মাওলানা ওয়ালীয়ুর রহমান খান, শায়খ মুহাম্মদ বিন আতীক ও আবূ বকর বিন মুআল্লিমসহ উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ।
যাযাদি/ এস