রসুনের খোসা ছাড়িয়ে সেই খোসা কী করেন? প্রশ্ন শুনে অবাক লাগছে, তাই না? আপনিও নিশ্চয়ই তাই করেন? কিন্তু মজার বিষয় হয়তো আপনার অজানা, রসুনের খোসা ছাড়িয়ে ফেলেই তো দেয় সবাই। রসুনের যে খোসা ফেলে দেওয়া হয়, তা অনেক কাজে লাগানো সম্ভব।চলুন জেনে নেওয়া যাক রসুনের খোসার কিছু ব্যবহার সম্পর্কে....
রসুনের মতো এর খোসায়ও রয়েছে অনেক গুণ। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে সর্দি কাশির উপশম হিসেবে কাজ করে রসুন। শুধু রসুনই নয়, এর খোসাও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সমান উপকারী। নানাভাবে ব্যবহার করতে পারেন রসুনের খোসা।
রসুনের খোসা ছাড়িয়ে সেগুলো ভেজে ঠান্ডা করে গুঁড়া করে নিন। এই গুঁড়া অনেক খাবারের স্বাদ বাড়াতে কাজ করে। সবজির তরকারি, স্যুপ বা ঝোলে ভাজা রসুনের খোসার গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন। এতে তরকারিতে রসুনের হালকা স্বাদ পাবেন। সেইসঙ্গে পাবেন পুষ্টিও।
ঘরে থাকা লবণের সঙ্গে রসুনের খোসার গুঁড়া মিশিয়ে নেওয়া যায়।এতে খাবারের স্বাদ বাড়ে। যেসব খাবারের সঙ্গে রসুনের স্বাদ যোগ করা যায়, সেসব খাবার তৈরিতে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
অনেক সময় আমরা বাথরুম বা বাড়ির অন্যান্য স্থানে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে দেখি। এ ধরনের গন্ধ দূর করতে কাজ করবে রসুনের খোসা। শুকনো রসুনের খোসা একটি থলেতে ভরে বাথরুমে ঝুলিয়ে রাখুন। এভাবে রাখতে পারেন আলমারি বা ড্রয়ারেও। রসুন দুর্গন্ধ শোষণ করবে এবং কাপড়কে ফ্রেশ রাখবে।
চাইলে আপনি রসুনের খোসা দিয়ে চাও তৈরি করতে পারেন। এই চা শরীরের সুস্থতায় সাহায্য করবে। সেজন্য একটি হাঁড়িতে পরিমাণমতো পানি নিয়ে চুলায় বসান। এরপর তাতে রসুনের খোসা দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এই চা সর্দি, কাশি, গলা ব্যথায় খুবই উপকারী।
যাযাদি/ এম