ভূমধ্যসাগরের নীল জলরাশির মাঝে ছোট্ট দ্বীপ মাল্টা। আর এই দ্বীপের ইতিহাসের পেছনে রয়েছে এক অদৃশ্য শক্তি — মাল্টার নারী সমাজ।
ঐতিহাসিকভাবে মাল্টায় নারীদের জীবন ছিল রক্ষণশীল। একটা সময় ছিল যখন সমাজে নারীরা মূলত গৃহস্থালি আর ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বদলাতে থাকে চিত্র।
১৮শ ও ১৯শ শতকে, ইউরোপীয় সাংস্কৃতিক প্রভাব মাল্টায় প্রবেশ করে। মেয়েরা পড়ালেখার সুযোগ পেতে শুরু করেন, বিশেষ করে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগে শিক্ষার প্রসার ঘটায় নারীদের অবস্থান ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়।
আজকের মাল্টায় নারী শিক্ষার হার অত্যন্ত উঁচু। নারীরা আইন, চিকিৎসা, রাজনীতি, এমনকি সেনাবাহিনীতেও দৃশ্যমান ভূমিকা রাখছেন। ২০১৮ সালে মাল্টা পেয়েছে তাদের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট — মারি-লুইস কলেইরো প্রেকা।
তবে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। সমাজের কিছু ক্ষেত্রে এখনো নারীদের সমান সুযোগের জন্য সংগ্রাম করতে হয়। তবে মাল্টার নারীরা আজ অনেক বেশি সচেতন, আত্মবিশ্বাসী এবং স্বপ্নবাজ।
ছোট্ট একটি দ্বীপের সীমারেখার ভেতর — মাল্টার নারীরা আজ প্রমাণ করছেন, ইচ্ছাশক্তি আর শিক্ষা থাকলে কোনো বাধাই চিরস্থায়ী নয়। তাঁরা শুধু ইতিহাসের অংশ নন — তাঁরা ইতিহাস গড়ছেন।"