মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি 

গাজীপুর প্রতিনিধি
  ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪১
ফাইল ছবি

৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে গাজীপুরে তিন উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলাগুলো হলো গাজীপুর সদর, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ।

জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এএইচ এম কামরুল হাসান জানান, সোমবার নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে গাজীপুর সদর উপজেলায় ৫জন, কাপাসিয়া উপজেলায় ২জন এবং কালীগঞ্জ উপজেলায় তিনজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এসব উপজেলায় এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পথে যথাক্রমে ৬জন ও ৪জন, ৫জন ও ২জন এবং ৬জন ও ৩জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

সদর উপজেলায় যারা চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন তারা হলেন, গাজীপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক রীনা পরভীন, সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ কর্মী আতিকুজ্জামান মোহাম্মদ এবং বিএনপি’র জেলা কমিটির সহসভাপতি ইজাদুর রহমান চৌধুরী।

সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে যারা আছেন তারা হলেন মো. বেলায়েত হোসেন, মঞ্জুরুল হক, রাসেল রানা, লিয়াকত আলী মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, নাজমুল আলম জুয়েল এবং মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে আছেন হাসিনা সরকার, মোসুমী রেজা বৃষ্টি, শিফন, শেখ মোকাম্মেল দীনা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সকলেই আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থক বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে।

জেলা বিএনপির অপর সহ-সভাপতি ও গাজীপুরের ভাওয়াল মির্জাপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক মুসুল্লী জানিান, ইজাদুর রহমান জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। বিএনপি নির্বাচন বয়কট করলেও তিনি কিভাবে প্রার্থী হয়েছেন তা আমার বোধগম্য নহে। এ ব্যাপাওে তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে ইজাদুর রহমান জানিয়েছেন, আজকে পর্যন্ত আমার প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু কোন নির্দেশনা পাইনি। এছাড়া স্থানীয় বিএনপি ও আমার ভক্ত-সমর্থক ও কর্মীদের চাপের কারণে এবং আগামী দিনে বিএনপির আন্দোল-সংগ্রামকে বেগবান করতেই আমি প্রার্থী হয়েছি। আগামী ৮ মে নির্বাচনে এ উপজেলায় দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চেয়ারম্যান পদটি উপহার দিতে চাই।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান জানান, বর্তমান সরকারের অধীনে যে কোন নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। উপজেলা নির্বাচনেও বর্জন করেছে বিএনপি। তারপরও কেউ এ সিদ্ধান্ত উপক্ষো করলে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গেও অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে বিএনপি’র জেলা কমিটির সহসভাপতি ইজাদুর রহমান চৌধুরীও এর বাইওে নন। তবে দলীয় এ সিদ্ধান্তের কথা জানেন না বলেন ইজাদুর রহমান। তিনি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

রিটানিং অফিসার আরো জানান, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। চেয়ারম্যানে পদে প্রার্থীরা হলেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো: আশরাফি মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান এবং সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন। এখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নুরুজ্জামান, মোজাম্মেল হক, এম এ সাদ্দাম হুসাইন ও মোহাম্মদ ফারুক ভূঁইয়া। এছাড়াও কালীগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাহমুদুল হাসান, জাতীয় পার্টির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মোহাম্মদ শামসুল হুদা। এখানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জুয়েনা আহমেদ, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শর্মিলী দাস ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শর্মিলা রোজারিও।

তিনি আরো জানান, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ৯ জন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে দুই জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন। চেয়ারম্যানে পদে প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. মোঃ আমানত হোসেন খান এবং কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন আহমেদ সেলিম।

এখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কে এম আলমগীর হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোঃ ইমান উল্লাহ শেখ ইমু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ মুজিবুর রহমান, কাপাসিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি হাফিজুল হক চৌধুরী আইয়ুব, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আফসার উদ্দিন। এই উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রওশন আরা সরকার ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিমা নাসরিন। রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, গাজীপুর সদরের ৪৯টি কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১লাখ৩৪হাজার ৫৩৫, কাপাসিয়ার ১১৯টি ভোটকেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা হলো হলো৩ লাখ ১৫হাজার ৫১৯ এবং কালীগঞ্জের ৯০ ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা হলো ২লাখ ৪৩হাজার ৮৬২।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে