বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদলের ৮শ ছেলে শহীদ হয়েছে: মির্জা ফখরুল

যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:০৬
জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদলের ৮শ ছেলে শহীদ হয়েছে: মির্জা ফখরুল
ছবি: যায়যায়দিন

শুধু ৩৬ দিনে ফ্যাসিস্টরা হটে যায়নি উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গত ১৫ বছরের আন্দোলনে ত্যাগে–রক্তে ফ্যাসিস্টদের হটতে হয়েছে। অবশ্য এই ৩৬ দিন ছিল চূড়ান্ত, যে আন্দোলন সেই আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে।

সেখানেও তাঁদের ছেলেরা ভূমিকা রেখেছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটা হিসাব দেখেছি, সেই হিসাবে প্রায় দুই হাজার ছেলে শহীদ হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায় আট শ ছেলে আমাদের ছাত্রদলের।

ঠাকুরগাঁও জেলায় যে নয়জন শহীদ হয়েছে, তার মধ্যে সাতজন ছাত্রদলের। ছাত্রদলের কোনো ভূমিকা ছিল না, বিএনপির কোনো ভূমিকা ছিল না—এ কথা যারা বলেন, মনে হয় তাদের সঠিকভাবে উপলব্ধি করা দরকার। তথ্যগুলো নেওয়া দরকার।’

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেবিআই), খামারবাড়িতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

অনুষ্ঠানে ঢাকার চার মহানগরে ছাত্রদলের সদস্য ফরম বিতরণ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম, সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও সদস্যসচিব মোস্তফা জামান।

সরকারে বসে সরকারের সব সুযোগ–সুবিধা নিয়ে দল গঠন করলে তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, তা না হলে জনগণের যে আস্থা আপনাদের ওপর আছে, সেই আস্থা আপনাদের ওপর আর থাকবে না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে আলোচনার মধ্যে আজ বুধবার এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব। বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের উদ্যোগে দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা হয়।

গত মাসে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারলে নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না। তখন আরেকটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। কেন ওই বক্তব্য দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আজকে কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘কেন বলেছিলাম, তা এখন প্রমাণিত হচ্ছে।’

সরকারের এক উপদেষ্টাকে ইঙ্গিত করে এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘তখন তিনি বলেছিলেন আমি নাকি এক–এগারোর দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা এক–এগারোর ভুক্তভোগী। এক–এগারো যারা তৈরি করেছে তারা টিকতে পারেনি মানুষের কাছে। আবারও হুঁশিয়ার করে বলে দিতে চাই যদি আবার কেউ সেই এক–এগারোর কথা চিন্তা করেন, গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে সেই একদলীয় শাসন ফ্যাসিস্ট সরকারের দিকে যেতে চান, তাহলে কখনোই জনগণ তা মেনে নেবে না।’

নতুন যেকোনো রাজনৈতিক দলকে বিএনপি স্বাগত জানাবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ছাত্রসংগঠন ইতিমধ্যে করেছেন, আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যখনই দল তৈরি করবেন, স্বাগত জানাব। তার অর্থ এই নয় যে আপনারা সরকারে বসে সরকারের সব সুযোগ–সুবিধা নিয়ে আপনারা আপনাদের দল গঠন করবেন। সেটা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।’

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে