শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএসইর লেনদেন কমেছে ১২ শতাংশ

যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৩
ডিএসইর লেনদেন কমেছে ১২ শতাংশ

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে এদিন সূচক বাড়লেও আগের দিনের তুলনায় দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ১২ শতাংশ। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও লেনদেন কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর প্রথমার্ধে সূচকে মিশ্র প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এ সময়ে কখনো সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল তো কখনো পয়েন্ট হারিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রয় চাপ বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল, যা শেষ পর্যন্ত বজায় ছিল। গতকাল দিন শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬ হাজার ৩০৩ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর বøæ-চিপ সূচক ডিএস-৩০ ৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১২৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভ‚মিকা ছিল খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, ওরিয়ন ইনফিউশন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সন্ধানী ইন্স্যুরেন্স ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের।

ডিএসইতে গতকাল ৬৭৪ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৭৬৫ কোটি টাকা। এদিন এক্সচেঞ্জটির লেনদেন কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ। এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৩৮টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১০১টির, কমেছে ৬৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৬৯টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার প্রবণতা দেখা গেছে। অন্যদিকে অনেকে শেয়ার বিক্রিও করেছেন। বিশেষ করে দ্রæত মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা ছিল লক্ষণীয়। তবে সার্বিকভাবে নির্বাচনের আগের সময়ের তুলনায় নির্বাচনের পর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। অবশ্য ফ্লোর প্রত্যাহারের পর বড় ধরনের দর সংশোধন হতে পারে এমন শঙ্কার কারণে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদে শেয়ার ধরে রাখতে চাইছেন না।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৭ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ২ শতাংশ দখলে ছিল সাধারণ বীমা খাতের। ৯ দশমিক ২ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৪ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। আর জীবন বীমা খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৮ দশমিক ১ শতাংশ। গতকাল ডিএসইতে ইতিবাচক রিটার্নের দিক দিয়ে শীর্ষে কাগজ ও মুদ্রণ খাত। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নের শীর্ষে ছিল পাট খাত।

সিএসইর নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ২৪ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১১ হাজার ১৫৯ পয়েন্টে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৬৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১৮ হাজার ৬৬০ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ১৭৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৪টির, কমেছে ৪৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৬৪টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে