শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

সিএমএসএফে লভ্যাংশ জমা না দিলে জরিমানা

যাযাদি ডেস্ক
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৫
সিএমএসএফে লভ্যাংশ জমা না দিলে জরিমানা

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে (সিএমএসএফ) অপরিশোধিত বা অদাবিকৃত বা অনিষ্পত্তিকৃত বা অবন্টিত বা অবরাদ্দকৃত নগদ বা স্টক লভ্যাংশ বা বোনাস শেয়ার বা রাইট শেয়ার কিংবা পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের ফেরত না দেয়া অর্থ জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। এ বিধান পরিপালন করা না হলে জরিমানা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গতকাল সোমবার বিএসইসির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, যদি কোনো ইস্যুয়ার কোম্পানি অপরিশোধিত বা অদাবিকৃত বা অনিষ্পত্তিকৃত বা অবন্টিত নগদ লভ্যাংশের অর্থ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল) বিধিমালা ২০২১ এর বিধি (৯) এর উপ-বিধি(১) অনুসারে জমা দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে সেক্ষেত্রে প্রতিমাসের জন্য ২ শতাংশ জরিমানাসহ এ অর্থ সিএমএসএফের ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে হবে। একইভাবে বিধিমালা অনুসারে অবরাদ্দকৃত বা অনিষ্পত্তিকৃত স্টক লভ্যাংশ বা বোনাস শেয়ার জমা না দিলে সেক্ষেত্রে প্রতিমাসের জন্য এসব শেয়ারের বাজার মূল্যের হিসাবে ২ শতাংশ জরিমানাসহ ডিম্যাটেরালাইজড অবস্থায় সিএমএসএফের বিও হিসাবে জমা দিতে হবে। অবরাদ্দকৃত বা অনিষ্পত্তিকৃত রাইট শেয়ার স্থানান্তরে ব্যর্থ হলেও সেক্ষেত্রে শেয়ারের বাজারমূল্যের হিসাবে প্রতি মাসের জন্য ২ শতাংশ জরিমানাসহ ডিম্যাটেরালাইজড অবস্থায় সিএমএসএফের বিও হিসাবে জমা দিতে হবে। যদি কোনো তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের ইস্যুয়ার পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ সিএমএসএফের কাছে ফেরত দিতে ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে প্রতি মাসের জন্য ২ শতাংশ জরিমানাসহ সিএমএসএফের ব্যাংক হিসাবে সে অর্থ স্থানান্তর করতে হবে। জরিমানার অর্থ মাসিক ভিত্তিতে চক্রবৃদ্ধিহারে হিসাব করা হবে। বিএসইসির এ নির্দেশনা আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।

সিএমএসএফের তথ্যানুসারে, এ তহবিলে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকার লভ্যাংশ জমা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭৬ কোটি টাকা নগদ ও ৯৫৭ কোটি টাকার স্টক লভ্যাংশ। এর মধ্যে ২৫২ কোটি টাকার লভ্যাংশ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বর্তমানে এ তহবিলে ৫৭১ কোটি টাকার নগদ ও ৭১০ কোটি টাকার স্টক লভ্যাংশ রয়েছে। এখান থেকে ২০০ কোটি টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে এ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকার ঋণ প্রদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া এ তহবিলে থাকা স্টক লভ্যাংশের মাধ্যমে একটি এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) গঠনের বিষয়টিও পরিকল্পনাধীন রয়েছে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে