শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

যমুনা অয়েলের মুনাফা বেড়েছে ২১ শতাংশ

যাযাদি ডেস্ক
  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৪
যমুনা অয়েলের মুনাফা বেড়েছে ২১ শতাংশ

রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা বেড়েছে প্রায় ২১ শতাংশ। কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২০৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ৩৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। প্রথমার্ধে খুলনা পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ টাকা ৪৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫ টাকা ২৭ পয়সা।

আলোচ্য হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১১৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১০২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে যমুনা অয়েলের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২৩ টাকা ৯৪ পয়সা।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে যমুনা অয়েলের ইপিএস হয়েছে ৩০ টাকা ৮৭ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ১৬ টাকা ৮৭ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০৫ টাকা ৪৯ পয়সায়, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৮৯ টাকায়।

যমুনা অয়েলের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।

২০২১-২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল যমুনা অয়েল। ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্যও বিনিয়োগকারীদের ১২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল যমুনা অয়েল। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৮ টাকা ২৪ পয়সা, যা আগের বছরে ছিল ১৮ টাকা ১৩ পয়সা। এর আগের ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্যও ১২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৭-১৮ হিসাব বছরেও একই হারে নগদ লভ্যাংশ দেয় তারা। এছাড়া ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে ১১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

২০০৭ সালে তালিকাভুক্ত যমুনা অয়েলের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ১৮৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১ কোটি ৪ লাখ ২৪ হাজার ৬০০টি শেয়ার রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার যমুনা অয়েলের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১৭৩ টাকা ৫০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১৬৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৯০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে