শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

এপেক্স ট্যানারির ঋণমান ডাবল এ মাইনাস

যাযাদি ডেস্ক
  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৭
এপেক্স ট্যানারির ঋণমান ডাবল এ মাইনাস

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এপেক্স ট্যানারি লিমিটেডের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান ‘ডাবল এ মাইনাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে গতকাল এ তথ্য জানা গেছে।

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এপেক্স ট্যানারির আয় বেড়েছে ৫২ শতাংশ। আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি এ সময়ে কোম্পানিটির লোকসানও কমেছে।

চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ২১ কোটি ২৬ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা বা ৫২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির লোকসান কমেছে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা বা ৪৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১ টাকা ৯৫ পয়সা।

চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৩৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছে ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৭১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৪৮ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৫০ টাকা ৩৫ পয়সায়।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড। ঘোষিত এ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে কোম্পানিটি। সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৮ টাকা ১৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৮২ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৮৫ পয়সায়, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬৩ টাকা ৩৯ পয়সা।

২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল এপেক্স ট্যানারি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের যা ছিল ৩৪ পয়সা। ওই বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৬৩ টাকা ৩৯ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৬৩ টাকা ১৭ পয়সা।

২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় এপেক্স ট্যানারি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা। ওই বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৬৩ টাকা ১৭ পয়সায়, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬৩ টাকা ৮৯ পয়সা।

২০১৯-২০ হিসাব বছরে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আগের হিসাব বছরে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়। এছাড়া ২০১৭-১৮ ও ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে ৪০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

১৯৮৫ সালে তালিকাভুক্ত এপেক্স ট্যানারির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৭ দশমিক ৫৪ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে