১৫ রানে তিন সেরা ব্যাটারকে হারিয়ে যখন ধুঁকছিল বাংলাদেশ তখন কিছুটা আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছিলেন ওপেনার সাইফ হাসান। অন্য তিনজনের আসাড়-যাওয়া দেখার মাঝে তিনি ছিলেন কিছুটা অবিচল।

শেষ বলে ছক্কা হল না পাকিস্তানের...

কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর অবিচল থাকতে পারলেন না। মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে জুটি বেধেছেন কেবল ১০ রানের। ব্যক্তিগত ১৮ রানের মাথায় শাহিন শাহ আফ্রিদির হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন তিনিও। ২৫ রানে পড়লো ৪ উইকেট। বলাই যায়, চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই সাদমান ও শান্তকে সাজঘরে ফেরান পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি।

সুইং বোলিংয়ে বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কখনও বল বাইরে নিচ্ছেন, কখনও ভেতরে ঢোকাচ্ছেন। বাঁহাতি এই পেসারের তৃতীয় ডেলিভারিটি ভেতরে ঢোকে। ফ্লিক করেছিলেন সাদমান। ব্যাটে খেলতে পারেননি সাদমান। বল লাগে প্যাডে। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন তিনি। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা গেছে স্রেফ লেগ স্টাম্প ছুঁয়ে যেত বল।

শাহিনের ওভারের তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউ হন সাদমান। ফিরলেন ১ রানে।

এক বল ডট দিয়েই পরের বলে শাহিনের দ্বিতীয় আঘাত। মাত্র দুই বল খেললেন নাজমুল হাসান শান্ত। রানের খাতা খোলার আগেই স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। আর তা লুফে নিতে ভুল করলেন না আবদুল্লাহ শফিক। শরীরের অনেক বাইরের বল খেলার কোনো দরকার ছিল না শান্তর। খোঁচা মেরে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলেন।

আবার বাংলাদেশ শিবিরে হানা দিলেন পেসার হাসান আলি। তার শিকার অধিনায়ক মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয়টিতেও ব্যর্থ মুমিনুল।

শান্তর মতো ডাক মারলেন তিনিও। হাসান আলির লেগ মিডল স্টাম্পের লেংথ বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক।

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের রান ১৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮। ১২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহীম। তার সঙ্গী ইয়াসির আলি রাব্বি করেন ৭ রান।

এর আগে তাইজুলের ঘূর্ণিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস। একাই ৭ উইকেট নিজের ঝুলিতে জমা করলেন তাইজুল। ২৮৬ রানেই গুঁড়িয়ে গেল পাকিস্তানের ইনিংস। ৪৪ রানের লিড পেল বাংলাদেশ।

যাযাদি/ এস