একদিনের জন্য বন্ধুত্ব ভুলে যাবেন মোহাম্মদ সালাহ ও সাদিও মানে। আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনাল যে আজ! লিভারপুলের দুই সতীর্থ মুখোমুখি হবেন শিরোপার লড়াইয়ে। সালাহর মিশর আফকনে রেকর্ড ৭ বারের চ্যাম্পিয়ন। তবে সালাহ নিজে ট্রফিটা এখনো ছুঁয়ে দেখতে পারেননি। শেষবার ২০১০-এ যখন আফকন জেতে মিশর, তার এক বছর পর জাতীয় দলে অভিষেক হয় সালাহর। সেনেগাল এর আগে দু’বার ফাইনাল খেলেও জিততে পারেনি। মানে গত আসরে দলকে নিয়ে যান ফাইনালে। কিন্তু তার স্বপ্ন ভেঙে দেয় রিয়াদ মাহরেজের আলজেরিয়া। মিশর-সেনেগালের দ্বৈরথ বেশ জমজমাট।
মুখোমুখি ১২ ম্যাচে ৬ জয়ে এগিয়ে মিশর। সেনেগাল জিতেছে ৪টি। দুই ম্যাচ হয়েছে ড্র। তবে শেষ ৫ দেখায় ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে সেনেগাল। আর আফকনে শেষ দুই সাক্ষাতে জিতেছিল সেনেগাল। অবশ্য দু’দলের সর্বশেষ দ্বৈরথ সেই ২০১৪ সালে। চলতি আসরে মানের সেনেগাল রয়েছে দুর্দান্ত ছন্দে। কোয়ার্টার ও সেমিফাইনাল উভয় ম্যাচেই ৩-১ গোলের জয় কুড়ায় তারা। অন্যদিকে শেষ ষোলোতে আইভরি কোস্ট ও সেমিফাইনালে স্বাগতিক ক্যামেরুনকে টাইব্রেকারে হারায় মিশর। মাঝে কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে সালাহর দল জেতে ২-১ গোলে। তবে ওই ম্যাচটিও গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
আফ্রিকান নেশন্স কাপে মোট ১৭ ম্যাচ খেলে ৮ গোল করেছেন মানে। অ্যাসিস্ট ৩টি। চলতি আসরে ৩ গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্ট দুটি। অন্যদিকে আফকনে ১৬ ম্যাচে মোহাম্মদ সালাহর গোল ৬টি। গোলে সহায়তা করেছেন ৩ বার। চলতি আসরে মিশর মোট গোলই করেছে ৪টি। এর মধ্যে ২ গোল ও একটি অ্যাসিস্ট সালাহর।
আফ্রিকান দলগুলোর মধ্যে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে মানের সেনেগাল। তারা রয়েছে ২০ নম্বরে। ২৫ ধাপ নিচে সালাহর মিশর। তবে আফকনে মিশরের পেনাল্টি শুটআউট রেকর্ড ঈর্ষণীয়। এ আসরে টানা ৬টি টাইব্রেকার জিতেছে তারা। এর মধ্যে ২০০৬ ও ১৯৮৬’র ফাইনালও রয়েছে; দু’বারই নিজেদের কায়রো ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে ফারাওরা। অন্যদিকে নিজেদের শেষ দুই পেনাল্টি শুটআউটে হেরেছে সেনেগাল। যদিও দলটির গোলরক্ষক এডুয়ার্ড মেন্ডি বর্তমান সেরাদের একজন। কিন্তু পেনাল্টি ফেরানোর দক্ষতার জন্য প্রসিদ্ধ নন তিনি। ক্যামেরুন ম্যাচে পেনাল্টি শুটআউটে মিশরের হিরো ছিলেন বদলি গোলরক্ষক মোহাম্মদ আবু গাবাল।
মুখোমুখি পরিসংখ্যান
মোট ম্যাচ: ১২
মিশরের জয়: ৬
সেনেগালের জয়: ৪
ড্র: ২
যাযাদি/এসএইচ