সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

৫ হাজার রানের চ‚ড়ায় মাহমুদউল্লাহ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৫২

বিশ্বকাপের ঠিক আগে দলে ফিরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪৯ রান করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাতে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে দলে থাকার দাবি আরও জোরালো করেন তিনি। দলে ফেরা এই ক্রিকেটার প্রথম সেদিন অল্পের জন্য ছুঁতে পারেননি একটি মাইলফলক। তবে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আর আক্ষেপ বাড়তে দেননি তিনি। ফার্গুসনের বলে ১ রান নিয়ে ৫ হাজার রানের চ‚ড়ায় ওঠেন ক্যারিয়ারের ২২১তম ওয়ানডে খেলতে নামা এ ক্রিকেটার। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের জার্সিতে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রিয়াদ। যা তার ব্যক্তিগত অর্জনের খাতা ভারি করেছে। তার আগে কেবল তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিমই আছেন এই তালিকায়। সাইলেন্ট কিলার রিয়াদ গতকাল থেমেছেন ২১ রানে। বর্তমানে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনিই।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সেই মার্চ থেকে অপেক্ষায় ছিলেন ওয়ানডেতে ৫ হাজার রানের চ‚ড়ায় উঠতে। যেখানে সর্বপ্রথম উঠেছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর তাকে অনুসরণ করেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর মাহমুদউল্লাহকে বাধ্যতামূলক বিশ্রামে পাঠিয়ে নতুনদের বাজিয়ে দেখার কথা বলা হয়। আয়ারল্যান্ড বিপক্ষে সিরিজে তাকে পাঠানো হয় দলের বাইরে। এরপর আইরিশদের বিপক্ষে ফিরতি সিরিজ, ঘরের মাঠে আফগানিস্তান সিরিজ ও এশিয়া কাপেও বাইরে ছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। নামের পাশে ৪ হাজার ৯৫০ রান নিয়ে ছিলেন অপেক্ষায়। আরেকবার জাতীয় দলের জার্সিতে তাকে দেখা যাবে কিনা এ নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। কিন্তু এশিয়া কাপে লেট মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ভালো না করায় টিম ম্যানেজমেন্ট মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য হয়। বিশ্বকাপের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। অপেক্ষা বাড়ে তার মাইলফলক ছোঁয়ারও। তৃতীয় ওয়ানডেতে সেই অপেক্ষা আর দীর্ঘ হয়নি। মুশফিকুর রহিম আউট হলে ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ।

ওডিআই ক্যারিয়ারে ১৯২ ম্যাচে ৩৫ দশমিক ৩৫ গড়ে ব্যাট চালিয়েছেন রিয়াদ। দলের প্রয়োজনে বিভিন্ন পজিশনে ব্যাট করতে দেখা গেছে তাকে। ’৭৬-এর বেশি স্ট্রাইকরেট রান করেছেন তিনি। তবে এমন দিনে আরও একটি রেকর্ড হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের। ওয়ানডে ফরম্যাটে এক মাঠে দশম ব্যাটার হিসেবে ২ হাজার রান করার কীর্তি হতে পারত তার। মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ১ হাজার ৯৯৭ রান করেছেন রিয়াদ।

বাংলাদেশের হয়ে এই মুহূর্তে ওয়ানডে ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের মালিক তামিম ইকবাল। সাবেক এই ওয়ানডে অধিনায়কের রান ৮ হাজার ৩৫৭। এরপরই আছেন মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসান। তাদের রান যথাক্রমে ৭ হাজার ৪০৬ এবং ৭ হাজার ৩৮৪। চারে থাকা রিয়াদের রান ৫ হাজার ২০। তালিকার পাঁচে আছেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। দেশের ক্রিকেটে ব্রাত্য হয়ে পড়া আশরাফুলের রান ৩ হাজার ৪৬৮।

ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহর পথচলার শুরু হয় ২০০৭ সালের ২৫ জুলাই। শ্রীলংকার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ৩৬ রান করেছিলেন তিনি। হাজার রানে পৌঁছতে তাকে খেলতে হয় ৪৮ ইনিংস। ১ হাজার থেকে ২ হাজারে পৌঁছান পরের ৪৫ ইনিংসে। তবে ২ হাজার থেকে ৩ হাজারে পৌঁছতে ডানহাতি ব্যাটসম্যান সময় নেন কেবল ২৯ ইনিংস। ক্যারিয়ারের ওই সময়টায় দারুণ কেটেছিল মাহমুদউল্লাহর।

বিশ্বকাপে পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি এসেছিল ওই সময়টাতেই। ৩ হাজার রান থেকে ৪ হাজারে যেতে তাকে খেলতে হয় ৩৯ ইনিংস। এবার ৪ হাজার থেকে ৫ হাজারে পৌঁছতে তার লাগল ৩১ ইনিংস। তবে মাইলফলক ছোঁয়া ইনিংসটি বড় করতে পারেননি। ২৭ বলে ২১ রান করে আউট হন অ্যাডাম মিলনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে