গল টেস্টের পঞ্চম দিনে লাঞ্চ বিরতির আগে শুরু হয় বৃষ্টি। ফলে বৃষ্টিতে তিন ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর খেলার আবার মাঠে গড়ালো। নতুন ব্যাটার লিটন কুমার দাস ৫ বলে ৩ রান করে থারিন্ডু রত্নায়েকের বলে বোল্ড হলেন।
পঞ্চম দিনের রোমাঞ্চে আক্ষরিক অর্থেই জল ঢেলে দিল বৃষ্টি। শেষ দিনে যেখানে বাংলাদেশের সামনে জয়, হার, ড্র কিংবা টাই চারটি সুযোগই খোলা ছিল, সে বৃষ্টিতে এখন সে সম্ভাবনাগুলো আস্তে আস্তে উবে যেতে শুরু করেছে।
যদিও এরআগে বাংলাদেশের পকেটে আছে ২৪৭ রানের লিড। মুশফিকুর রহিম ফিফটি না পেয়ে বিদায় নিলেও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ঠিকই সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছেন। মুশফিকের বিদায়ের পর নামা বৃষ্টিতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় চলে গেছে। এবার শুরু হয়েছে খেলা।
গল টেস্টে দিনের শুরুতে সব ধরনের সম্ভাবনার রাস্তা খোলা ছিল। এই টেস্টটা বাংলাদেশ জিততে পারে, আর এটার সম্ভাবনাই ছিল বেশি। কম হলেও শ্রীলঙ্কার জেতার সম্ভাবনা একেবারেও কম নয়। দুই পক্ষের এই টেস্ট ড্রও হতে পারে। হয়ে যেতে পারে টাইও।
তবে সব সম্ভাবনার চাবিকাঠিটা বাংলাদেশের হাতে ছিল। মানে বাংলাদেশ না চাইলে এখান থেকে এক ফলাফলের অন্যথা হওয়া খুব একটা সম্ভব নয়, অবশ্য অতিমানবীয় কিছু হয়ে গেলে সেটা ভিন্ন কথা।
বাংলাদেশের চালকের আসনে থাকার বড় কারণটা ছিল মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে মিলে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ এক জুটি। প্রথম ইনিংসে রেকর্ড ছুঁইছুঁই ২৬৪ রানের জুটি গড়েছিলেন চতুর্থ উইকেটে। তেমন রেকর্ড না হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দুজন মিলে এই চতুর্থ উইকেট জুটিতেই যোগ করেছেন ১০৯ রান। আর সেটাই লঙ্কানদের জেতার আশা কমিয়ে দিয়েছে অনেকখানি।
তবে আজ পঞ্চম দিন সকালে দুজন বেশ ধীরগতিতে খেলেছেন। বাংলাদেশ দিন শুরু করেছিল ৫৭ ওভারে ১৭৭ রান নিয়ে। এরপর ১৯ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে স্রেফ ৬০ রান। সেটা টেস্টটাকে নিয়ে যাচ্ছে ড্রয়ের দিকেই।
মুশফিক আর শান্তর জুটি ভেঙেছে দারুণ এক রান আউটে। মিড অনে ঠেলে দিয়ে একটা রান নিতে চেয়েছিলেন মুশফিক। সেখান থেকে থারিন্দু রত্নায়েকের দারুণ থ্রো ভেঙে দেয় স্টাম্প, সেটা আবার মুশফিকের ক্রিজে ঢোকার আগেই। যার ফলে ৪৯ রানে ফিরতে হয় মুশফিককে। ফলে ১০৯ রানের জুটি ভেঙে যায় তাদের।
এরপরই নামে বৃষ্টি। প্রায় তিন ঘন্টা বন্ধ থাকে খেলা